সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নীতীশ কুমার। বিহারে ভোটের দামামা বাজতেই বিশেষভাবে নজর পড়েছে পোড় খাওয়া এই রাজনীতিবিদের উপর। ভোটকুশলী একাংশের মতে, জেডিইউ প্রধান অস্তাচলে। আবার অন্যপক্ষ মনে করছে, যদি এনডিএ জেতে মসনদে প্রত্যাবর্তন করতে পারেন বর্ষীয়ান রাজনীতিকই। এই পরিস্থিতিতে মুখ খুললেন অমিত শাহ। কী বললেন তিনি?
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ”নীতীশ কুমারই মুখ্যমন্ত্রী হবেন কিনা, তা সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে আমি একা কিছু বলতে পারি না। তবে এই মুহূর্তে নীতীশ কুমারের নেতৃত্বেই কিন্তু আমরা লড়াই করছি। নির্বাচনের পরে সমস্ত জোটসঙ্গীরা একসঙ্গে বসে বেছে নেবে তাদের নেতাকে।”
সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, ২০২০ সালের ভোটের পর কিন্তু নীতীশ চেয়েছিলেন বিজেপি থেকেই কেউ মুখ্যমন্ত্রী হোন, যেহেতু গেরুয়া শিবিরই বেশি ভোট পেয়েছিল। শাহ বলছেন, ”উনি জোটের বিষয়ে বরাবরই শ্রদ্ধাশীল। উনি ওঁর বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ হিসেবে প্রাপ্য সম্মানের জায়গা থেকেই কিন্তু সেবার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন।”
উল্লেখ্য, গত রবিবারই বিহারে আসনরফা চূড়ান্ত করেছে এনডিএ। আসন বণ্টনের ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দাবিকে খারিজ করেছে গেরুয়া শিবির। নীতীশ বিজেপির চেয়ে একটি হলেও বেশি আসনে লড়াই করার দাবি করেছিলেন। কিন্তু তালিকা প্রকাশ হতে দেখা যায়, দুই দলই ১০১টি করে আসনে প্রার্থী দেবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসওয়ানের এলজেপি পাবে ২৯টি আসন। এছাড়া কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতনরাম মাঝির হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা ৬টি আসনে। একই সংখ্যক আসনে প্রার্থী দেবে রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা। এরপর থেকেই চর্চা শুরু হয়েছে, এনডিএ-র মুখ্যমন্ত্রীর মুখ নীতীশই থাকবেন কিনা তা নিয়ে। শাহর মন্তব্যে জল্পনা আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। কেননা তিনি পরিষ্কার করে দিলেন ভোটের লড়াইয়ে নেতা নীতীশ, কিন্তু ভোটের পরেই ঠিক হবে মসনদে কোন দলের প্রতিনিধি বসবেন। সব মিলিয়ে এদিন অমিত শাহর মন্তব্যকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.