Advertisement
Advertisement
Mamata Banerjee

নেত্রীর ‘ছোট্ট’ বার্তা, একুশের প্রস্তুতি নিয়ে বিধায়কদের বিশেষ ‘টাস্ক’ দিলেন মমতা

রেকর্ড ভাঙা ভিড় চাই! বিধায়কদের তারই প্রস্তুতি নেওয়ার বার্তা দিয়েছেন দলনেত্রী।

21 July TMC Shahid Diwas: Mamata Banerjee gives 'task' to the MLAs for Rally

ফাইল ছবি।

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:June 26, 2025 1:49 pm
  • Updated:June 26, 2025 3:21 pm  

স্টাফ রিপোর্টার: ২১ জুলাই মানে তৃণমূল কর্মীদের কাছে একটা আবেগ। যত দিন গিয়েছে, সেই আবেগের টান হইহই করে বেড়েছে। তাতেই প্রতি বছরের রেকর্ড পরের বছর ভেঙেছে জনোচ্ছ্বাস। সেই আবেগ-উচ্ছ্বাসকে আরও একবার সফল করার ‘টাস্ক’ দিয়ে বিধায়কদের বার্তা দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

সদ্য বিধানসভার বাদল অধিবেশন শেষ হয়েছে মঙ্গলবার। শেষ দিনেই মন্ত্রী-বিধায়কদের সঙ্গে আলাদা করে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী। সকলের কাছে আলাদা করে এলাকার খবর নেন। কোথাও, কোনও ব্লকে কোথাও কোনও সমস্যা আছে কি না, তার খবর নেন। সূত্রের খবর, এরই ফাঁকে মমতার ছোট্ট বার্তা, ‘২১ জুলাই সামনে। সকলে খেয়াল রেখো যেন কর্মীরা সকলে সভায় ঠিকমতো আসতে পারেন। ঠিক করে প্রস্তুতি নিতে হবে। এই সমাবেশ ভালো করে করতে হবে।’ বাংলা ভাষায় কথা বলার অপরাধে রাজস্থানে দু’দিন আগেই পরিযায়ী শ্রমিকদের আটকে রাখার ঘটনা ঘটেছিল। তৎক্ষণাৎ খবর নিয়ে তাঁদের উদ্ধারের ব্যবস্থা করেন মুখ্যমন্ত্রী।সাংবাদিকদের সামনে তা নিয়ে সরবও হন। পরে বিধায়কদের কাছেও বিষয়টি তুলে ধরে তার স্পর্শকাতরতা বোঝান। তার সঙ্গেই ২১ জুলাই নিয়ে বিধায়কদের দিয়েছেন ‘ছোট্ট’ বার্তা।

ইতিমধ্যে দলের নেতৃত্বকে ডেকে নিয়ে দলের এই বার্ষিক সমাবেশের প্রস্তুতি মনে করিয়ে রেকর্ড ভাঙা ভিড়ের প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। এবার বিধায়কদের সেই কথা মনে করিয়ে দিলেন তৃণমূল নেত্রী। ইতিপূর্বে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মন্ত্রী-বিধায়কদের নির্দিষ্ট করে বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ডিভিসি যেভাবে জল ছেড়েছে তার সবটাই রাজ্যকে না জানিয়ে বলে অভিযোগ সরকারের। তা নিয়ে উষ্মা প্রকাশও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই পর্বেই শেষদিনের আগে অধিবেশনে প্রথম পর্ব কাটছাঁট করে নেতা-মন্ত্রীদের সরাসরি বন্যা কবলিত এলাকায় পৌঁছে যেতে বলেন। সেই পরিস্থিতি কেমন তার খবরও নেন মুখ্যমন্ত্রী। ব্যক্তিগত স্তরে দলের নেতা-কর্মীদের খোঁজ নেওয়া মমতার বরাবরের অভ্যাস। সেই সঙ্গে এও মনে করিয়ে দিয়েছেন, যখন-তখন যেখানে-সেখানে যা খুশি বলে ফেলা যায় না। জনপ্রতিনিধি হিসাবে প্রত্যেকেরই কিছু ভূমিকা রয়েছে। সেসব মাথায় রেখেই চলতে হবে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement