Advertisement
Advertisement
Kolkata Police

‘ট্রাফিক আইন ভেঙে বাঁক নেওয়ার চেষ্টা সেনার ট্রাকের’, বিতর্কের মধ্যে ‘জিরো টলারেন্স’ মনে করাল পুলিশ

সেনার ওই ট্রাক ট্রাফিক আইন ভেঙেছে বলে অভিযোগ।

Army truck broke the law, Kolkata Police reminds of 'zero tolerance'
Published by: Suhrid Das
  • Posted:September 2, 2025 8:07 pm
  • Updated:September 2, 2025 8:07 pm   

নিরুফা খাতুন: মহাকরণের সামনে দিয়ে সেনার একটি ট্রাক বেপরোয়া গতিতে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সিগন্যাল না মেনে সেটি ডান দিকে ঘোরানো হয় বলে অভিযোগ। সেনা ট্রাকের ঠিক পিছনেই ছিল কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মার গাড়ি। পুলিশ কর্তার গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ার আশঙ্কাও ছিল। তাঁর নিরাপত্তার কারণে সেনার গাড়ি আটকানো হয়েছিল। আজ, মঙ্গলবার সকালে ওই ঘটনা ঘিরে ব্যাপক শোরগোল পড়েছিল। সেই বিষয়ে এদিন বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে কলকাতা পুলিশ। বেপরোয়া গাড়ি নিয়ে জিরো টলারেন্স নীতি পুলিশের। সেই কথা পরিষ্কার জানানো হয়েছে। এদিন কলকাতা পুলিশের ডিসি ট্রাফিক শ্রীকান্ত জে এই বিষয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন।

Advertisement

এদিন পুলিশের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে যেভাবে পদক্ষেপ করা হত, এক্ষেত্রেও তাই-ই করা হয়েছে। সেনার ওই ট্রাক ট্রাফিক আইন ভেঙেছে বলে অভিযোগ। সিগনাল চালক দেখতে পায়নি বলে জানা গিয়েছে। এই বিষয়টি হেয়ার স্ট্রিট থানা দেখছে। হেয়ার স্ট্রিট থানায় ওই সেনার ট্রাকটিকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে সেনাবাহিনীর থেক থানায় গাড়িটি ছাড়াতে যাওয়া হয়েছিল। সূত্রের খবর, মোটর ভেহিক্যাল অ্যাক্টে মামলা রুজু করা হয়েছে। এদিন কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গোটা বিষয়টি ট্রাফিকের। তবে এক্ষেত্রে বেপরোয়া গাড়ি নিয়ে জিরো টলারেন্স নীতিই বহাল রাখতে চাইছে পুলিশ।

মহাকরণের সামনে দিয়ে বেপরোয়া গতিতে এসে সেনার ট্রাকটি ডানদিকে বাঁক নিতে গিয়েছিল। সেনার তরফে জানানো হয়েছিল আয়কর ভবন যাওয়ার জন্য গাড়িটি ডানদিকে বাঁক নিচ্ছিল। কিন্তু পুলিশের দাবি, আয়কর ভবন যেতে গেলে ওই রাস্তা দিয়ে যেতে হয় না। রাস্তাতে ‘নো রাইট টার্ন’ বোর্ডও ছিল। তারপরও চালক ওই রাস্তায় ট্রাকটি নিয়ে যেতে চেষ্টা করেছিল। গোটা বিষয়টি নিয়ে ফোর্ট উইলিয়ামের সঙ্গে কলকাতা পুলিশের কথা হয়নি। এদিন সেই কথা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।

সোমবার মেয়ো রোডে তৃণমূলের ভষা আন্দোলন চলাকালীন আচমকাই মঞ্চ খুলে দিয়েছিল সেনাবাহিনী। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান খোদ তৃণমূল নেত্রী। সেনা বিজেপির কথায় এমন কাজ করেছে বলে অভিযোগ তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশকে না জানিয়ে মঞ্চ খোলা হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। তা নিয়ে সেনা ও পুলিশের দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছিল। আর মঙ্গলবার সেনার গাড়ি নিয়ে সংঘাত তৈরি হল।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ