সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর কাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে শিরোনামে উঠে এসেছিলেন চিকিৎসক অভীক দে। শাস্তির মুখেও পড়েছিলেন। তাঁকে মেডিক্যাল কাউন্সিল থেকে বহিষ্কারও করা হয়। কয়েক মাসের ব্যবধানে সোমবার মেডিক্যাল কাউন্সিলের বৈঠকে দেখা গেল সেই অভীক দে-কেই। এই ঘটনা স্বাভাবিকভাবেই একাধিক প্রশ্ন তুলে দিল। আদৌ কি বাদ দেওয়া হয়েছিল অভীককে? নাকি পুরোটাই ভাঁওতা? প্রশ্ন তুলে অবস্থানে ডাক্তার অধ্যাপকদের সংগঠন।
আর জি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উঠে আসে অভীক দে’র নাম। এর পর তাঁর বিরুদ্ধে ৩২ দফা অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। এর মধ্যে যেমন ছিল দুবছর ধরে নিয়মিত ক্লাস না করা, হাজিরা না দেওয়া, রিপোর্ট জমা না দেওয়া, বায়োমেট্রিক কাজ না করা, রোগী না দেখা, ‘থ্রেট কালচার’, মর্গে দুর্নীতি। অভয়া কাণ্ডের তদন্তে নেমে সিসিটিভি ফুটেজে ঘটনাস্থলেও অভীককে দেখতে পান তদন্তকারীরা। পরবর্তীতে শাস্তির মুখে পড়তে হয় অভীককে। সরানো হয় মেডিক্য়াল কাউন্সিল থেকে। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল ডা. উৎপল দাঁয়ের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের কমিটি গড়ে স্বাস্থ্যভবন।
কয়েকমাস পেরতে না পেরতেই সোমবার মেডিক্য়াল কাউন্সিলের বৈঠকে দেখা গেল অভীককে। তবে কী গোপনেই মেডিক্যাল কাউন্সিলে ফেরানো হয়েছে তাঁকে? নাকি সরানোই হয়নি? প্রশ্ন তুলে মেডিক্যাল কাউন্সিলের সামনে অবস্থানে পাঁচটি চিকিৎসক সংগঠনের যৌথ মঞ্চ। তাঁদের অভিযোগ, অভয়ার খুনের পর যাকে ক্রাইম জোনে অভীককে পাওয়া গিয়েছিল বলে মেডিক্যাল কাউন্সিল-সহ স্বাস্থ্যভবন প্রশ্ন তুলেছিল। আবার এনআরএস-সহ পাঁচ মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপ্যালকে নিয়ে তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। ওই চিকিৎসককে পিজি হাসপাতালে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। সে কীভাবে এই বৈঠকে? এটাই প্রশ্ন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.