গোবিন্দ রায়: মুখবন্ধ খামে কসবা কাণ্ডের তদন্তের অগ্রগতি রিপোর্ট জমা দিল পুলিশ ও কলেজ কর্তৃপক্ষ। হলফনামা জমা দিল কসবা থানাও। বৃহস্পতিবার হাই কোর্টে দাঁড়িয়ে নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী অরিন্দম জানা দাবি করেন, এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ নেই। পুলিশি তদন্তে সন্তুষ্ট নির্যাতিতার পরিবার। তদন্ত রিপোর্টের কপি হাতে চান তিনি। বলেন, “তাহলে আমরাও জানতে পারব যে তদন্ত কোন পর্যায়ে আছে।” গোপন জবানবন্দি এবং মেডিক্যাল রিপোর্ট খতিয়ে দেখেন বিচারপতি সৌমেন সেন। তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে একমাস পর ফের হাই কোর্টে রিপোর্ট জমা দেবে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ২৭ জুন, কসবার আইন কলেজে গণধর্ষণের ঘটনা (Kasba Case) নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। নির্যাতিতা দাবি করেন, ২৫ জুন সন্ধ্যায় তাঁকে ডাকা হয়েছিল কলেজে। অভিযোগ, সেখানে গেলে তাঁর উপর চড়াও হন তিনজন। গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। কাউকে কিছু না বলতে হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরে ওই ছাত্রী কসবা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। লালবাজারের সূত্র জানিয়েছে, প্রথমে বিশেষ তদন্তকারী দল বা ‘সিট’-এর পাঁচজন সদস্য কাজ শুরু করেন। পরে অবশ্য‘সিট’-এর সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হয়। বর্তমানে ন’জন ‘সিট’সদস্য তদন্ত করছেন। নির্যাতিতা ছাত্রী ও তিন অভিযুক্তর রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সেগুলি ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।
ঘটনার রাতে কলেজে ছাত্রীর গণধর্ষণের যে ভিডিওগুলি তোলা হয়, সেগুলি একটি সোশাল মিডিয়ার বিশেষ গ্রুপে শেয়ার করা হয়েছিল বলে খবর আসে পুলিশের কাছে। পুলিশ সেই তথ্য যাচাই করছে। ওই গ্রুপে রয়েছে মনোজিৎ, জায়েব, প্রমিত ও মনোজিতের খুব ঘনিষ্ঠ কয়েকজন। ওই গ্রুপের কেউ বাইরে ভিডিওগুলি ছড়িয়েছে কি না, সেই তথ্য পুলিশ জানার চেষ্টা করছে। তথ্য যাচাইয়ের জন্য গ্রুপের অন্য সদস্যদের পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করবে। পরীক্ষা করা হতে পারে তাঁদের মোবাইলও। অভিযুক্তদের কলেজে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ হয়। ইউনিয়ন রুম, গার্ডরুম-সহ কোথায় কী ঘটনা ঘটেছিল, তার বিবরণ দিয়েছে অভিযুক্তরা। চলছে তদন্ত। এদিকে, দিনকয়েক বন্ধ থাকার পর কসবার ওই কলেজে ফের পঠনপাঠন শুরু হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.