Advertisement
Advertisement

Breaking News

Mithun Chakraborty

মিঠুনের সঙ্গে রোজভ্যালির আসল চুক্তি ফাঁস, ‘কেন গ্রেপ্তার নয়’, প্রশ্ন কুণালের

পরিযায়ী ইস্যুতে বাঙালি মিঠুনকে 'রাজাকার' কটাক্ষ বাংলার বুদ্ধিজীবীদের।

Kunal Ghosh attacks Mithun Chakraborty on Rose Valley issue
Published by: Sayani Sen
  • Posted:July 28, 2025 8:56 am
  • Updated:July 28, 2025 8:56 am   

স্টাফ রিপোর্টার: রোজভ্যালির সঙ্গে তাঁর কীসের চুক্তি হয়েছিল, সেই তথ্য ফাঁস। যার জেরে আরও বিপাকে অভিনেতা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। রোজভ্যালির সঙ্গে মিঠুনের চুক্তির তথ্য সামনে এনে রবিবার প্রথম বিস্ফোরণ ঘটান তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তার মধ্যে বিজেপি রাজ্যে বাঙালিবিদ্বেষ ইস্যুতে তাঁকে এই বাংলার ‘রাজাকার’, অমানবিক ‘পরিযায়ী বাঙালি’ বলে কটাক্ষের মুখে পড়তে হল বাংলার বুদ্ধিজীবী মহলের কাছে।

Advertisement

সকালে এদিন নিজের ফেসবুক আর এক্স অ্যাকাউন্টে রোজভ্যালির সঙ্গে মিঠুনের চুক্তির কাগজপত্র ফাঁস করে দেন কুণাল। কিছুদিন ধরেই বাঙালিবিদ্বেষ নিয়ে প্রশ্নের জবাব হয় এড়িয়ে যাচ্ছেন, না হলে সেই প্রশ্নে তিনি বলছেন এমন কিছু হচ্ছে বলে তাঁর কাছে অন্তত খবর নেই। ফলে তাঁর বিরুদ্ধে বাংলার শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের রোষ ফুঁসে উঠছিলই। তার মধ্যেই মিঠুনের রোজভ্যালির সঙ্গে ব্যবসায়িক চুক্তি সংক্রান্ত আইনি কাগজ ফাঁস করে দেন কুণাল। লেখেন, ‘রোজভ্যালির সঙ্গে মিঠুন চক্রবর্তীর ব্যবসায়িক চুক্তি। শুধু অভিনেতার পারিশ্রমিক মডেল নয়, অংশীদারিত্বের চুক্তি। সই মিঠুনদা এবং তাঁর স্ত্রী যোগিতা চক্রবর্তীর।’

এরপরই কুণালের প্রশ্ন, এক) এটি সত্য? সত্য হলে রোজভ্যালির সঙ্গে আরও বাণিজ্যিক লেনদেন মিঠুনদার আছে কি না? দুই) রোজভ্যালি থেকে মোট কত টাকা মিঠুনদা পেয়েছে? তিন) রোজভ্যালি থেকে পাওয়া টাকা মিঠুনদা ফেরত দিয়েছে কি না? চার) রোজভ্যালির তদন্তে কেন্দ্রীয় এজেন্সি কেন মিঠুনদাকে গ্রেপ্তার করেনি? এরপরই কুণাল সাফ জানিয়ে দেন, “যদি আমি সাংবাদিক হয়ে লিখিত চুক্তিতে ছয়-সাতটি মিডিয়ায় বিপুল কাজ করে চেকে পারিশ্রমিক নিয়ে ট্যাক্স দিয়েও বন্দি হই, কলঙ্কিত হই; মিঠুনদা সারদা, রোজভ্যালিতে গ্রেপ্তার নয় কেন? এই কারণেই কি বিজেপির পায়ে পড়ে বাঁচা? রোজভ্যালির তদন্তে অবিলম্বে মিঠুনদাকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে।”

কলকাতা প্রেস ক্লাবে এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন বুদ্ধিজীবী মহলের একটা বড় অংশ। দেশ বাঁচাও গণমঞ্চের একটি কর্মসূচিতে তাঁদের তরফে ছিলেন সঙ্গীতশিল্পী সৈকত মৈত্র, সাংবাদিক তথা রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুমন ভট্টাচার্যরা। সৈকত সেখানে মিঠুন নিয়ে প্রশ্নের জবাবে নাম না করে বলেন, “বাংলার একজন সাংস্কৃতিক কর্মী দেখলাম বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের তাড়িয়ে দেওয়ার মতো খবরকে ভাঁওতাবাজি বলে বললেন, ‘কোথায় হচ্ছে বাঙালিদের উপর অত্যাচার?’ তার মানে এটা পরিষ্কার, যে যাঁরা এটা দেখতে চান না, তাঁরা এসব দেখতে পান না।” সৈকতের কথায়, “উনি অমানবিক। হয় নিজের সুবিধার কথা ভাবছেন, না হয় খবর রাখেন না। আর তাও না হলে ওঁকে কেউ খবর দেন না। আসলে উনি এখন একজন পরিযায়ী বাঙালি।” এরপর সরাসরি মিঠুনের নাম করে তাঁকে ‘রাজাকার’ বলে কটাক্ষ করেন সুমন। তাঁর কথায়, “বাংলাকে নিয়ে যাঁরা এই ধারণা পোষণ করছেন, তাঁরা আসলে এই বাংলার রাজাকার। একদিন তাঁরা জগদীপ ধনকড়ও হবেন।”

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ