স্টাফ রিপোর্টার: কালীপুজোয় শান্তি বজায় রাখতে শহরের পথে নামছেন প্রায় ৩ হাজার পুলিশ কর্মী। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে থাকছে ৬১৪টি পুলিশ পিকেট। থাকছে ২৩টি হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড ও ২৫টি মোবাইল পেট্রোলিং। শহরের অলিগলিতে শব্দবাজির দৌরাত্ম্য রুখতে থাকছে পুলিশের ১০০টি অটো পেট্রোলিং, এছাড়াও রয়েছে ২১টি কুইক রেসপন্স টিম। থাকছে ২৭টি ওয়াচ টাওয়ার।
[অন্যদের আলোর খোঁজ দিয়ে জীবনের আঁধার ঘোচাচ্ছে এই পড়ুয়ারা]
বাজির আগুনে যদি কেউ অগ্নিদগ্ধ হন তবে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য থাকছে পুলিশের ২৪টি ট্রমা কেয়ার অ্যাম্বুল্যান্স। এছাড়া কালীঘাট, ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি, লেক কালীবাড়ি এবং হরিদেবপুরের করুণাময়ী মন্দিরে থাকছে বিশেষ পুলিশি ব্যবস্থা। শহরে মোট বারোয়ারি কালীপুজোর সংখ্যা ৩,৫৮৪টি। সোনার গহনা পরিয়ে যে সমস্ত প্রতিমা তৈরি হয়েছে সেরকম ২৫টি মণ্ডপে থাকছে বিশেষ পুলিশি ব্যবস্থা। মেট্রো রেলের ২৩টি স্টেশনে থাকছেও নজরদারি। অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে শহরে থাকছে পুলিশের ১৬টি বাড়তি সিসিটিভি। ৫২টি থানায় থাকছে পুলিশের বিশেষ রিজার্ভ ফোর্স।
লালবাজার ছাড়াও চারটি ডিভিশনের টালিগঞ্জ, বেহালা, যাদবপুর থানা এবং উত্তর ডিভিশনের রিজার্ভ অফিসেও থাকছে পুলিশের বিশেষ কন্ট্রোল রুম। গত এক সপ্তাহে ৩,১৭৭ কেজি বাজি আটক করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৮ জনকে। বিসর্জনের জন্যও থাকছে ২৪৫টি পুলিশ পিকেট। বিসর্জনে গঙ্গায় টহলদারিতে থাকছে চারটি পেট্রোলিং টিম। প্রতিটি ঘাটে থাকছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল। ডিজে ব্যবহার না করার জন্য সমস্ত পুজো কমিটিকেই আবেদন জানিয়েছেন লালবাজারের কর্তারা। পাশাপাশি এই বিষয়ে সচেতনতার জন্য প্রচারও করা হয়েছে। বহুতলের ছাদের উপর থেকে কেউ যাতে বাজি ফাটাতে না পারে তার জন্য থাকছে পুলিশি নজরদারি।
[মশা মারতে এবার বেশি করে বাজি পোড়ানোর নিদান]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.