Advertisement
Advertisement

Breaking News

Enforcement Diretorate

বিহার পুলিশে কনস্টেবল নিয়োগ দুর্নীতিতে কলকাতা যোগ! প্রিন্টিং সংস্থার কর্ণধার-সহ ED-র জালে বেশ কয়েকজন

ইডির দাবি, কনস্টেবল নিয়োগ দুর্নীতি ছাড়াও ২০২৪ সালের নিট পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস দুর্নীতির পিছনে রয়েছে অভিযুক্তরা।

Several arrested by ED in Kolkata in Bihar Police constable recruitment scam
Published by: Gopi Krishna Samanta
  • Posted:June 19, 2025 11:22 pm
  • Updated:June 19, 2025 11:22 pm   

অর্ণব আইচ: বিহারের পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ দুর্নীতিতে কলকাতা যোগ! তদন্তে নেমে কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনার একাধিক জায়গায় তল্লাশি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। ইডির দাবি, বিহারে কনস্টেবল নিয়োগ দুর্নীতি ছাড়াও ২০২৪ সালের নিট পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস দুর্নীতির পিছনে রয়েছে এই অভিযুক্তরা। তাই একইসঙ্গে নিট প্রশ্নফাঁস দুর্নীতিতেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

Advertisement

ইডির সূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনার মধ‌্যমগ্রাম-সহ বিহার, রাঁচি, লখনউয়ের মোট ১১টি জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। ২০২৩ সালে বিহারে পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের সময় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। ওই বছরের ১ অক্টোবর বিহারের কনস্টেবল পদে ২১ হাজার ২৯১টি শূন‌্যপদের জন‌্য ১৮ লাখ পরীক্ষার্থী ৩৭টি জেলার ৫২৯টি কেন্দ্রে পরীক্ষা দেন। প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার অভিযোগ ওঠার পর ওই পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হয়। বিহার পুলিশের পর ইডি এই মামলার তদন্ত শুরু করে। ইডির দাবি, বিভিন্ন ভুয়ো সংস্থার মাধ‌্যমে বিহারে এই দুর্নীতির কোটি কোটি টাকা ওই রাজ‌্য থেকে পাচার হয়েছে। ইডির তদন্তে উঠে আসে উত্তর কলকাতার সিঁথি এলাকার একটি প্রিন্টিং সংস্থার নাম। জানা যায়, বিহার পুলিশের কাছ থেকে প্রশ্নপত্র ছাপার বরাত পায় ওই সংস্থাটি। এরপর ওই প্রিন্টিং সংস্থাটি অন‌্য একটি ছাপাখানাকে প্রশ্নপত্র ছাপার জন‌্য বরাত দেয়।

অভিযোগ, ছাপার পর কলকাতার সংস্থাগুলি সরাসরি বিহার সরকারকে প্রশ্নপত্রগুলি না পাঠিয়ে বিহারের পাটনার একটি সংস্থার গোডাউনে পাঠায়। ৬ দিন সেখানে প্রশ্নপত্রগুলি ছিল। দুর্নীতি চক্রের মাথা বিহারের সঞ্জীব মুখিয়া ও তার গ‌্যাংয়ের সদস‌্যরা ওই প্রশ্নপত্রগুলি চুরি করে। এরপর সেই প্রশ্ন পরীক্ষার্থীদের চড়া দামে বিক্রি করে দেওয়া হয়। এই দুর্নীতিতে বিহার পুলিশ কলকাতার ওই দু’টি ছাপাখানার কর্ণধার ছাড়াও এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে উত্তর ২৪ পরগনা থেকে কৌশিক কর, সঞ্জয় দাস, কলকাতা থেকে সুমন বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করে। লখনউ থেকে গ্রেপ্তার হয় একই চক্রে যুক্ত সৌরভ বন্দ্যোপাধ‌্যায়কে।

ইডির অভিযোগ, কলকাতার প্রিন্টিং সংস্থাগুলি শুধু বিহার পুলিশের প্রশ্নপত্র ছাপিয়েছে তা নয়। ২০২৪ সালে এমবিবিএস, বিডিএস, আয়ুষে ভর্তির জন‌্য নিট পরীক্ষার প্রশ্নপত্রও ছাপানো হয় কলকাতার এই সংস্থাগুলি থেকে। একই পদ্ধতিতে নিট পরীক্ষার ক্ষেত্রেও দুর্নীতি হয়। ইডির দাবি, প্রশ্নপত্র ফাঁস ছাড়াও ওই প্রিন্টিং সংস্থাগুলির মাধ‌্যমে নিট ও বিহারের কনস্টেবল পরীক্ষা দুর্নীতির বিপুল টাকা চক্রের মাথাদের বিভিন্ন অ‌্যাকাউন্টে পাচার হয়েছে। তারই সূত্র ধরে মধ‌্যমগ্রামে এই মামলার অভিযুক্তদের বাড়িতে তল্লাশি চালায়। এ ছাড়াও তল্লাশি চালানো হয় কলকাতার এক আইনজীবীর দফতরেও। ওই একাধিক জায়গা থেকে প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই দু’টি মামলায় আরও বেশ কয়েকজনকে জেরা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইডি।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ