Advertisement
Advertisement
SSC

রাতভর অবস্থানের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার, সপ্তাহান্তে পথে নামার ডাক ‘যোগ্য’ চাকরিহারাদের

তবে এখনও অধরা রফাসূত্র।

SSC: Snubbed teachers and not teaching candidates persist in their demands
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:July 14, 2025 6:29 pm
  • Updated:July 14, 2025 7:52 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের সঙ্গে বৈঠকেও মিলল না রফাসূত্র। এখনও নিজেদের দাবিতে অনড় চাকরিহারারা। মেহবুব মণ্ডল, চিন্ময় মণ্ডল-সহ আন্দোলনকারী চাকরিহারাদের দাবি, রাতের মধ্যে যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করতেই হবে। তাঁদের প্রশ্ন, “তালিকা প্রকাশের নির্দেশ যেমন দেওয়া হয়নি। তেমনই প্রকাশে নিষেধাজ্ঞাও নেই। তাহলে কেন তালিকা তৈরি থাকা সত্ত্বেও দেওয়া হচ্ছে না?” যদিও কয়েকঘণ্টার মধ্যেই সিদ্ধান্ত বদল করলেন চাকরিহারারা। জানা যাচ্ছে, আপাতত অবস্থানের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করছেন তাঁরা। সপ্তাহান্তে ফের পথে নামবেন। কালীঘাট যাবেন বলেও জানিয়েছেন চাকরিহারারা।

Advertisement

সুপ্রিম কোর্টে দেওয়া হোক যোগ্যদের তালিকা, বাকিদের পরীক্ষা নেওয়া হোক। এই দাবির কথা জানাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন ‘যোগ্য’ চাকরিহারাদের একাংশ। সে কারণেই সোমবার নবান্ন অভিযানের ডাক দেন তাঁরা। কিন্তু মাঝপথে বাধা দেওয়া হয় তাঁদের। পরবর্তীতে ২০ জন প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব, ছিলেন কমিশনার-সহ অন্য়ান্য আধিকারিকরা। মিটিং শুরুর ১০ মিনিটের মধ্যেই বেরিয়ে যান মুখ্যসচিব। এরপরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন চাকরিহারারা।

‘যোগ্য’ চাকরিহারাদের কথায়, “মুখ্যসচিব আমাদের কথা শুনেছেন। নোট করেছেন। কিন্তু আমরা তো বরাবর যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা চেয়েছি। শিক্ষমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী সকলেই জানিয়েছেন তালিকা তৈরি। কিন্তু সুপ্রিম নির্দেশ নেই, এই যুক্তি দেখিয়ে তালিকা প্রকাশ করা হয়নি।” এরপরই তাঁরা বলেন, তালিকা প্রকাশে তো সুপ্রিম কোর্টের নিষেধাজ্ঞাও নেই। তাহলে কেন দেওয়া হবে না? চাকরিহারাদের সাফ দাবি, সোমবার রাতেই যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। যত রাতই হোক, তালিকা প্রকাশ্যে না এলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন তাঁরা। রাতভর অবস্থানের কথাও জানিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, অবস্থানের সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন চাকরিহারারা। এরপরই রাস্তা থেকে খুলে দেওয়া হয় ব্যারিকেড।

প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি যায়। নতুন করে পরীক্ষা নিতে হবে বলেও সর্বোচ্চ আদালত জানিয়ে দেয়। সেজন্য সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশ মেনে কমিশনের তরফে মে মাসের শেষে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। কিন্তু ‘যোগ্য’ চাকরিহারাদের একাংশ নতুন করে পরীক্ষা দিতে রাজি নন।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement