Advertisement
Advertisement
IIM Joka

দ্বিতীয় দিনেও গোপন জবানবন্দি দিতে গেলেন না নির্যাতিতা! IIM জোকা কাণ্ডে বাড়ছে ধন্দ

অভিযোগকারিণীর উপর রীতিমতো বিরক্ত বিশেষ তদন্তকারী আধিকারিক বা 'সিট'-এর সদস্যরা।

victim of iim joka not appear in court for second time
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:July 16, 2025 8:56 am
  • Updated:July 16, 2025 8:56 am  

অর্ণব আইচ: দ্বিতীয় দিনেও গোপন জবানবন্দি দিতে আদালতে গেলেন না অভিযোগকারিণী। এবার আইআইএম (জোকা) ক্যাম্পাসে তরুণী মনোবিদের ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে ধন্দে পুলিশও। তাঁর সঙ্গে মঙ্গলবারও পুলিশ যোগাযোগ করতে পারেনি বলে অভিযোগ। এভাবে ক্রমাগত পুলিশকে এড়িয়ে চলায় এই ঘটনার অভিযোগকারিণীর উপর রীতিমতো বিরক্ত বিশেষ তদন্তকারী আধিকারিক বা ‘সিট’-এর সদস্যরা।

Advertisement

গত শুক্রবার আইআইএম (জোকা)-র হস্টেলের ভিতর এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ওই অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ দ্বিতীয় বর্ষের এমবিএ ছাত্র পরমানন্দ মহাবীর টোপ্পান্নাবার ওরফে পরমানন্দ জৈনকে হরিদেবপুর থানার পুলিশ ওই ক্যাম্পাসের ‘লেক ভিউ’ হস্টেলের ১৫১ ঘর থেকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের এক আধিকারিক জানান, অভিযোগ দায়ের করার পর থেকে অভিযোগকারিণী ওই তরুণী পুলিশকে বিশেষ সহযোগিতা করেননি। কিন্তু ধর্ষণের মামলায় অভিযোগকারিণীর সহযোগিতা খুবই প্রয়োজন। যদিও পুলিশ এই ঘটনাটিকে গুরুত্ব দিয়েই দেখছে। তাই মূলত সিসিটিভির ফুটেজ ও পারিপার্শ্বিক প্রমাণের উপরই নির্ভর করে থাকতে হচ্ছে পুলিশকে।

পুলিশকে অপেক্ষা করে থাকতে হচ্ছে অভিযুক্ত ও অভিযোগকারিণীর মোবাইলের কললিস্ট ও সোশাল মিডিয়ায় তাঁদের যোগাযোগ সংক্রান্ত ফরেনসিক রিপোর্টের উপর। এ ছাড়াও যেহেতু মাদকাচ্ছন্ন করে ধর্ষণের অভিযোগ, তাই যে খাবার ও জলে মাদক মেশানো হয়েছিল বলে অভিযোগ, তারই নমুনার ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করে থাকতে হচ্ছে পুলিশকে। এ ছাড়াও অভিযুক্ত ছাত্রকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ আইআইএম (জোকা)-এর ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার পুনর্গঠন করছে।

পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, সোমবার আলিপুর আদালতে নির্যাতিতা তরুণীর গোপন জবানবন্দি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পুলিশ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। মঙ্গলবারও আলিপুর আদালতে তাঁকে গোপন জবানবন্দির জন্য নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল পুলিশের। কিন্তু এদিনও পুলিশ তাঁর সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করতে পারেনি। এমনকী, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তরুণীর বাড়িতে গিয়েও কোনও লাভ হয়নি পুলিশের। সূত্রের খবর, শনিবার আলিপুর আদালতে পুলিশ বিষয়টি জানাতে পারে। তরুণী মেডিক্যাল পরীক্ষায় রাজি হননি ও তাঁর পরনের পোশাকও বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ ফরেনসিকে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠাতে পারেনি। তবে অভিযুক্তর পরনের পোশাক ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ফরেনসিকে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement