সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সামনেই কালীপুজো। দেশ জুড়ে পালিত হবে দীপাবলি। চারদিকে চলছে তারই প্রস্ততি। প্রদীপ ও রঙবেরঙের আলোর পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বিক্রি হচ্ছে আতশবাজি। বড়দের পাশাপাশি ছোটরাও বাজি পোড়ানোর আনন্দে মেতে ওঠে। আতশবাজির ধোঁয়ায় গ্রাম থেকে শহর সর্বত্রই ঢেকে যায়। বাড়তে থাকে বায়ুদূষণের মাত্রা। অ্যাজমা, হাঁপানি, সিওপিডি রোগীরা অনেকেই সমস্যায় পড়েন। সবচেয়ে বেশি কষ্ট পায় শিশুরা। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদেরকে এই সময় বেশ সাবধানে রাখা দরকার। তাই আগেভাগে কিছু সাবধানতা নেওয়া প্রয়োজন।
বেশির ভাগ আতশবাজি ক্ষতিকর উপাদান দিয়ে তৈরি হয়। এগুলি পুড়ে সালফার ডাই অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড প্রভৃতির সূক্ষ্ম কণা বাতাসে মিশে থাকে। ধোঁয়াশা তৈরি করে এই বিষাক্ত গ্যাস মাটির কাছাকাছি নেমে আসে। বিষাক্ত গ্যাসের এই মিশ্রণ স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উদ্বেগজনক। শিশুরা এই গ্যাস নিঃশ্বাসের মাধ্যমে নিলে শ্বাসকষ্ট, কাশি, গলা জ্বালা প্রভৃতি সমস্যায় ভুগতে পারে। তাই, নিজের সুস্থতা বজায় রেখে উৎসবে আনন্দে মেতে উঠতে কিছু নিয়ম না মেনে চললেই নয়।
কী করবেন?
(১) ভোরবেলা ও সন্ধ্যার দিকে ধোঁয়াশা সবচেয়ে ঘন হয়ে দেখা দেয়। তাই এই সময় বাইরের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন। এই সব মুহূর্তে বাতাসে বাজি পোড়া গ্যাসের মিশ্রণ মাটির কাছাকাছি মিশে থাকে। বাইরে বেরোলে এই গ্যাস নিঃশ্বাসের মাধ্যমে ফুসফুসে গিয়ে ক্ষতি করতে পারে।
(২) বাড়ির দরজা জানলা বন্ধ রাখুন। ঘরের দরজা ও জানলায় ভারী পর্দা ঝুলিয়ে রাখুন। বাইরে বেরোলে অবশ্যই মাস্ক মুখে দিন। বিশেষ করে শিশুর ক্ষেত্রে অবশ্যই বাইরে বেরোলে মাস্ক পরান।
(৩) বাজি ফাটানোর পরিবর্তে আপনি প্রদীপ জ্বালাতে পারেন। কিংবা রংবেরঙের আলো দিয়ে নিজ গৃহ সাজাতে পারেন। এতে বাড়ির আশেপাশের পরিবেশ নির্মল থাকবে।
(৪) নিজের ফুসফুসকে ভালো রাখার জন্য প্রানায়াম অভ্যাস করুন। শরীরকে হাইড্রেট রাখার চেষ্টা করুন। শরীরে জলের ঘাটতিতে যেন ডিহাইড্রেশন না হয়। জল শরীরের বিষাক্ত পদার্থকে বাইরে বের করে দিতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খান। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। সহজে ঠান্ডা লেগে যাতে সর্দি-কাশি না হয় সেদিকে নজর রাখুন। নতুবা এর থেকে শ্বাসকষ্ট তৈরি হতে পারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.