সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার (Coronavirus) দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় বাড়তে থাকা সংক্রমণে উত্তরোত্তর বাড়ছে আতঙ্ক। এতদিন ভাবা হচ্ছিল, দেশে সংক্রমণের দ্রুত ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফের পিছনে রয়েছে ডবল মিউট্যান্ট করোনা ভাইরাস। কিন্তু এবার সন্ধান মিলেছে ট্রিপল মিউট্যান্ট কোভিড-১৯ ভাইরাসের (COVID-19)। এই নয়া স্ট্রেনের পোশাকি নাম ‘বেঙ্গল স্ট্রেন’ (Bengal strain)।
কতটা ভয়ঙ্কর এই ‘বেঙ্গল স্ট্রেন’? প্রাথমিক ভাবে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই স্ট্রেনের সংক্রমিত করার ক্ষমতা সম্ভবত অনেক বেশি। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয়, যদি কেউ এর আগে করোনায় আক্রান্ত হয়েও থাকেন এমনকী টিকাও নিয়ে থাকেন তাহলেও তাঁর আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, মহারাষ্ট্র, দিল্লি এবং পশ্চিমবঙ্গে ট্রিপল মিউট্যান্টের জন্যই লাফিয়ে সংক্রমণ বাড়ছে। বিশেষ করে বাংলায় এর দাপাদাপির কারণেই নামের সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে ‘বেঙ্গল’। দেখা গিয়েছে, ডবল মিউট্যান্টের সঙ্গে ট্রিপল মিউট্যান্ট, দুই ধরনের স্ট্রেনই রীতিমতো দাপট দেখাতে শুরু করেছে রাজ্যে। যার ফলে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ।
মিউটেশন (Mutation) বা অভিযোজন ভাইরাসের সাধারণ একটি ধর্ম। ট্রিপল মিউট্যান্ট অর্থে ভাইরাসটি তিনবার অভিযোজিত হয়েছে। ফলে সে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এই নয়া স্ট্রেন অন্যগুলির থেকে ঠিক কত বেশি ভয়ানক তা জানতে আরও পরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে বলেই জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তবে এই স্ট্রেন সম্পর্কে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি উদ্বেগে রেখেছে বিজ্ঞানীদের তা হল, এটিতে E484K মিউটেশন দেখা গিয়েছে। এই মিউটেশনের সঙ্গে মিল রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলে মেলা ভয়ানক স্ট্রেনটির। ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ বায়োমেডিক্যাল জেনোমিকস’-এর গবেষক শ্রীধর চিন্নাস্বামীর কথায়, ”সুতরাং আপনি যদি করোনার অন্য স্ট্রেনের দ্বারা আক্রান্তও হয়ে থাকেন, এমনকী টিকাও নিয়ে থাকেন তাহলেও আপনি এই মিউট্যান্ট থেকে নিরাপদ নন।” তবে এই আতঙ্কের মধ্যে আশ্বস্ত করছেন গবেষকরা। ইতিমধ্যেই ICMR-এর তরফে জানানো হয়েছে ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন টিকা এই নয়া স্ট্রেনের সঙ্গে টেক্কা দিতে সক্ষম।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.