সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাড়ির খুদে সদস্য মানে সে সকলের মনমতো চলতে বাধ্য তা নয়। বিশেষত বর্তমান যুগের খুদেরা তো একেবারেই সেরকম নয়। তারা নিজের মতামত সম্পর্কে অত্যন্ত সচেতন। তা বলে তাকে সহবত শেখাবেন না, তা হতে পারে না। কারণ, বাবা-মা হিসাবে আপনারও কিছু দায়দায়িত্ব থেকেই যায়। তবে বকাঝকা, মারধর নয়। তাকে বুঝিয়েও জীবনের পাঠ দেওয়া সম্ভব।
* বড়রা রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। কারণ, তাঁরা জানেন কোথায় কেমন আচরণ করা উচিত। তবে খুদেরা মেজাজ হারায় সহজেই। তাই তার রাগ, দুঃখ, হাসির মতো আবেগের বহিঃপ্রকাশও খুব স্বাভাবিক। যখন সে রেগে যাবে, তাকে বকাঝকা করবেন না। পরিবর্তে চুপ করে যান। কিছুক্ষণ তাকে নিজের মতো থাকার সুযোগ দিন। এরপর তাকে বোঝান। বলুন যে আচরণ সে করেছে, তা ঠিক শোভনীয় নয়। একদিনে খুদে বুঝবে না। কিন্তু বারবার বোঝালে নিশ্চয়ই বুঝবে।
* শিশুর কাছে স্পর্শ খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষত মায়ের স্পর্শের কোনও তুলনা হয় না। শিশুকে যখন কিছু বোঝাবেন, তখন তার চোখে চোখ রেখে কথা বলুন। সে নিশ্চয়ই বুঝবে।
* বকাঝকা, মারধর করে সাময়িক খুদেকে শান্ত করা সম্ভব। কিন্তু সহবত শেখানো নয়। তার চেয়ে তাকে শান্ত হয়ে বোঝান। জোরে জোরে কথা বলার চেয়ে, ধীরে বলুন।
* খুদে রেগে গিয়ে কী করল, সে কারণে তাকে দোষ দেবেন না। পরিবর্তে তাকে আবেগ দ্বারা পরিচালনা করার চেষ্টা করুন। বলুন, তুমি যে খেলনা ফেলে দিলে, তাতে আমি খুব দুঃখ পেলাম। এসব আর কোরো না। তাতে সে বুঝবে যে শুধু খেলনা কেন, কোনও কিছু ফেলা উচিত নয়। দেখবেন ধীরে ধীরে নিজেকে বদলে নিয়েছে।
* রেগে গেলে অনেক শিশুই মারধর করে। সে সময় আর তার ছোট বড় কোনও জ্ঞান থাকে না। এই পরিস্থিতিতে তাকে আটকে দিন। পরিবর্তে শিশুকে দয়ালু হতে শেখান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.