Advertisement
Advertisement
Economic Survey

বহু মানুষের চাকরি খাবে কৃত্রিম মেধা! আর্থিক সমীক্ষায় সিঁদুরে মেঘ

২০৩০ সালের মধ্যে কৃষিক্ষেত্রের বাইরে ৭৮.৫ লক্ষ নয়া কর্মসংস্থান তৈরির পরামর্শ।

Economic Survey warns of AI's potential to displace middle, lower-income work
Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:January 31, 2025 6:33 pm
  • Updated:January 31, 2025 6:44 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে বাড়তে থাকা কৃত্রিম মেধা বা এআই-এর প্রকোপ পড়েছে ভারতেও। ২০২৫-২৬ কেন্দ্রীয় বাজেটের প্রাক্কালে এআই-এর বাড়বাড়ন্তের জেরে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে আর্থিক সমীক্ষায়। শুধু তাই নয়, কৃত্রিম মেধার অত্যধিক প্রকোপ রুখতে অবিলম্বে নির্দিষ্ট নীতি নির্ধারণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রকে।

Advertisement

আর্থিক সমীক্ষায় বিশদে তুলে ধরা হয়েছে কীভাবে কৃত্রিম মেধার বাড়বাড়ন্ত দেশের নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের চাকরির উপর প্রভাব ফেলবে। পাশাপাশি এটাও জানানো হয়েছে, প্রযুক্তিকে বাদ দিয়ে বর্তমান বিশ্ব অচল। ফলে কৃত্রিম মেধার প্রয়োজনও রয়েছে। কিন্তু ভারতের বিরাট জনসংখ্যার দেশে অর্থনৈতিক দিক থেকে শ্রমজীবী মানুষের সংখ্যা প্রচুর। কর্মীদের রোজগারের উপর যাতে কোনও প্রভাব না পড়ে সে জন্য এআই-এর ব্যবহারের সঙ্গেই কর্মীদের বিপল্প রোজগারের রাস্তা তৈরি করতে হবে।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠন (ILO)-এর আশঙ্কা এআই-এর কারণে গোটা বিশ্বে ৭৫ মিলিয়ন কর্মক্ষেত্র সম্পূর্ণরূপে বিপুল্প হয়ে যাবে। অতীত ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে প্রযুক্তির কোপে পড়ে এই ঘটনা আগেও ঘটেছে। ভারতের মতো শ্রমিক প্রধান দেশে এই ঘটনা বড়সড় প্রভাব ফেলবে। স্বাস্থ্য, গবেষণা, বিচারব্যবস্থা, শিক্ষা, ব্যবসা, আর্থিক পরিষেবা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এআই মানুষের কর্মক্ষমতাকে ছাড়িয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে সমীক্ষায়। এই পরিস্থিতিতে এমন কিছু নীতি গঠন করা উচিত যাতে শ্রমিকদের আয়ের বিকল্প পথ খুলে দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। একইসঙ্গে জানানো হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে কৃষিক্ষেত্রের বাইরে ৭৮.৫ লক্ষ নয়া কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে যাতে সবকিছু ঠিক রাখা যায়। অন্যথায় দেশের শ্রমিক বাজারে সমস্যা তৈরি করবে। যা উন্নয়নের গতিকে রুদ্ধ করবে।

উল্লেখ্য, বিশ্ববাজারে কৃত্রিম মেধার বাড়বাড়ন্ত যে ব্যাপকভাবে বেড়েছে তা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এর জেরে চাকরির বাজারে সংকট তৈরি হবে এটা ঠিক, তবে তার সঙ্গে চাকরির বিকল্প রাস্তাও খুলে যাবে এটাও অস্বীকার করার জায়গা নেই। এই বিষয়ে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও জানিয়েছিলেন, বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির প্রয়োজন যেমন রয়েছে তেমনই চাকরির ক্ষেত্রেও যাতে খুব বিশেষ প্রভাব না পড়ে তা দেখা উচিত। এবার সেই ইস্যুতেই উদ্বেগ প্রকাশ করল আর্থিক সমীক্ষা।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement