Advertisement
Advertisement
Fat

মোটা হওয়ার ‘অপরাধ’, কাজে যোগ দেওয়ার ২ ঘণ্টার মধ্যে খোয়া গেল চাকরি

পরিশ্রমের কাজ করতে পারবেন না হামিশ, দাবি পার্ক কর্তৃপক্ষের।

Man fired for being 'too fat' just two hours after starting his new job
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:January 23, 2022 5:49 pm
  • Updated:January 23, 2022 5:49 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যে কাজে যোগ দেবেন বলে নিজের এলাকা থেকে ৩২০০ কিলোমিটার দূরের শহরে এসে ঘর ভাড়া নিয়ে নিয়েছিলেন। বিষয় সম্পত্তির একটা অংশও বিক্রিও করে দিয়েছিলেন, সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন স্ত্রী-পুত্রকে। সেই কাজে যোগ দেওয়ার ২ ঘণ্টার মধ্যে চাকরি গেল অস্ট্রেলিয়ার (Australia) এক ব্যক্তির। কেন? কোন অপরাধে?

Advertisement

অপরাধ চমকে দেওয়ার মতোই। কর্তৃপক্ষ হামিশ গ্রিফিনকে (Hamish Griffin) বরখাস্ত করেছেন তাঁর অতিরিক্ত স্থুলতার কারণে। কর্তৃপক্ষ মনে করে, যে কাজ দেওয়া হয়েছিল হামিশকে, তা সে করে উঠতে পারবে না। 

আসলে একটি পার্ক দেখভালের দায়িত্ব পেয়েছিলেন হামিশ। চাকরি পাকা হতেই ৩২০০ কিলোমিটার উজিয়ে অস্ট্রেলিয়ার কুইনল্যান্ড থেকে অপর প্রান্তের তাসমেনিয়াতে চলে আসেন পরিবার নিয়ে। কাজ যখন পেয়েই গেছেন, তখন স্ত্রী-পুত্র নিয়ে সংসার করার মতো একটা বাড়িও ভাড়া করে ফেলেন। কিন্তু প্রথম দিন কাজে যোগ দিতেই বাধল গোল। দুই ঘণ্টা যেতে না যেতেই বিগফোর স্ট্রাহান হলিডে রিট্রিট নামের ওই পার্ক কর্তৃপক্ষ হামিশকে জানিয়ে দেয়, আপনি আসতে পারেন। আপনাকে এই কাজের যোগ্য মনে করা হচ্ছে না।

[আরও পড়ুন: ‘যুদ্ধ এখনও বাকি’, হরিয়ানার যুগলের বিয়ের আমন্ত্রণ পত্রে ফের কৃষক আন্দোলনের বার্তা]

কর্তৃপক্ষের দাবি, হামিশের ওবিসিটি (Obesity) রয়েছে। সে পার্কের পরিশ্রমের কাজ করতে গিয়ে নিজেকেই আহত করে ফেলবে। সেই কারণেই তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছে। যদিও হামিশের যুক্তি, কাজে যোগ দেওয়ার আগে তাঁর ছবি দেখেছিল কর্তারা। ক্ষুব্ধ হামিশের প্রশ্ন, তখনই তাঁকে বাদ দেওয়া হল না কেন? তাছাড়া এর আগে কুইনসল্যান্ডের একটি পার্কের ম্যানেজারের কাজ করেছেন তিনি। সেখানে সাফল্যের সঙ্গে একটানা আট বছর কাজ করেন। একথাও জানিয়ে দিয়েছেন হামিশ গ্রাফিন।

গোট ঘটনার অভিযোগ জানিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্টও করেছেন হামিশ। সেখানে তিনি লিখেছেন, নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগটুকু দেওয়া হয়নি আমাকে। ওদের ধারণা আমি কাজ করতে গেলে নিজেকে আহত করে ফেলব, যেহেতু আমি মোটা। বিষয়টা মেনে নেওয়া যায় না, যে কেউ এই বিষয়ে আমার সঙ্গে একমত হবে।

[আরও পড়ুন: বিয়ের অনুষ্ঠানে নাচায় হবু বরের থাপ্পড়! প্রতিবাদে তুতো ভাইয়ের গলাতেই মালা দিলেন তরুণী]

আচমকা চাকরি যাওয়ায় ছেলে-বউকে নিয়ে তিনি পথে বসেছেন সেকথাও ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন হামিশ। তাঁর কথায়, হয়তো আমার থেকেও গরিব মানুষ আছেন অনেকে। কিন্তু আমার এখন গৃহহীন অবস্থা। মনে হচ্ছে দুঃস্বপ্নের মধ্যে ঢুকে পড়েছি।

ইতিমধ্যে আইনজীবীর সাহায্যও নিয়েছেন হামিশ। তাঁর আইনজীবীদের বক্তব্য, শারীরিক অসস্থতার কারণে কাউকে এভাবে বরখাস্ত করা যায় না, এটা বৈষম্যমূলক আচরণের মামলা। 

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ