শেষ লগ্নে এশিয়া কাপ। রবিবার ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল। তার আগে কেমন হতে পারে সেরা একাদশ? ওপেন অবশ্যই করবেন অভিষেক শর্মা। ৬ ম্যাচে করেছেন ৩০৯ রান। গড় ৫১.৫০। মেরেছেন ৩১টি ছক্কা ও ১৯টি চার। ৩০৯ রান পকেটে নিয়ে এই এশিয়া কাপে তিনিই সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।
তাঁর সঙ্গে নামতে পারেন বাংলাদেশি ওপেনার সইফ হাসান। ৪ ম্যাচ খেলে ১৭৮ রান করেছেন। ৮টি চারের পাশাপাশি হাঁকিয়েছেন ১২টি ছক্কা।
পাকিস্তানি ব্যাটার সাহিবজাদা ফারহান এশিয়া কাপে বিতর্কে জড়িয়েছেন। তবে ব্যাট হাতেও পারফরম্যান্স খারাপ নয়। ৬ ম্যাচে রান ১৬০। ৯টি চারের সঙ্গে ৮টি ছয় মেরেছেন। তবে স্ট্রাইক রেট খুবই কম- ১০৭.৩৮।
উইকেটকিপারের দায়িত্ব এসে পড়বে লিটন দাসের কাঁধে। সুপার ফোরের শেষ দুটি ম্যাচ চোটের জন্য খেলতে পারেননি। ৪ ম্যাচে রান ১১৯। ১৩টি চার মেরেছেন।
তারপর আসবেন কুশল পেরেরা। ৬ ম্যাচে ১৪৬ রান করেছেন। স্ট্রাইক রেট ১৩৯। চার মেরেছেন ১৫টি। ভারতের বিরুদ্ধে সুপার ফোরের ম্যাচেও ৫৮ রান করেন।
মাঝে থাকবেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। বিস্ফোরক ব্যাটার ম্যাচের রং বদলে দিতে পারেন। ৪ উইকেট নিয়েছেন। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ৩৮ রান করেছেন। ফিনিশারের ভূমিকা নিতে পারেন।
এশিয়া কাপ যেন ফর্মে ফিরিয়ে দিল শাহিন শাহ আফ্রিদিকে। ৬ ম্যাচে ৯ উইকেট তুলেছেন। গড় ১৬। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে 'ডু অর ডাই' ম্যাচে নায়ক হয়েছিলেন। ফাইনালে ভারতকে চাপে ফেলতে পারেন।
শ্রীলঙ্কার স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা এশিয়া কাপেও ম্যাজিক দেখিয়েছেন। ৬ ম্যাচে ৮ উইকেট তুলেছিলেন। গড় ১৯.৫০।
এবারের টুর্নামেন্টের চমক সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর জুনেইদ সিদ্দিকি। ৩টি মাত্র ম্যাচ খেলেছেন। পেয়েছেন ৯ উইকেট। গড় মাত্র ৬.৩৩। তার মধ্যে ২বার ৪ উইকেট তুলেছেন।
জশপ্রীত বুমরাহ এবার সেরা ফর্মে নেই। ৪ ম্যাচে ৫ উইকেট পেয়েছেন। তবে বুমরাহকে দলে রাখা মানে যখন তখন খেলার মোড় ঘুরে যেতে পারে।
এশিয়া কাপে নিঃসন্দেহে সেরা বোলার কুলদীপ যাদব। ১৩ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। গড় মাত্র ৯.৮৫। যখনই প্রয়োজন পড়েছে, তখনই চায়মাম্যান স্পিনার ভারতকে উইকেট তুলে দিয়েছেন।
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.