Advertisement
Advertisement
পুজো

বিদায় বেলায় ‘গান স্যালুট’, রীতি মেনে বিসর্জন আসানসোলের রায় পরিবারে

প্রায় ২০০ বছর আগে শুরু হয়েছিল এই পুজো।

Know the amazing tradition of Asansole's Ray family puja
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:October 8, 2019 5:10 pm
  • Updated:October 8, 2019 5:10 pm   

চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: দেশনায়ক বা সেনা জওয়ানরা শহীদ হলে পুলিশ বা সেনাদের পক্ষ থেকে “গান-স্যালুট” দেওয়ার রীতি-রেওয়াজ রয়েছে সর্বত্র। কিন্তু মা দুর্গার বিসর্জনে “গান স্যালুট” দেন কুলটির নিয়ামতপুরের রায় পারিবারের সদস্যরা। মায়ের বিদায় বেলায় এই প্রথাকে বলা হয় ‘সেলামি’ দেওয়া। রীতি মেনে মঙ্গলবার পরিবারের ১০ থেকে ১৫ টি অস্ত্র বের করে ফাটানো হল পুকুরের ধারে। গড়ে ৫০ রাউন্ড গুলি ছোঁড়া হয় শিবমন্দির পুকুরের পাড়ে। কুলটির বেলরুই গ্রামের রায় পরিবারে বংশ পরমম্পরায় এটাই রীতি। নবপত্রিকা বিসর্জনের সময় শূন্যে এলোপাথাড়ি গুলি চালান পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের মহিলাদের হাতেও ধরিয়ে দেওয়া হয় বন্দুক। পরিবারের সদস্যদের দাবি শত বছরের পুরোনো এই রীতি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: পুজো মণ্ডপে বাজছে আজান, এফআইআর দায়ের বেলেঘাটা ৩৩ পল্লির উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে]

বেলরুই গ্রামের রায়েরা ছিলেন জমিদার। প্রথমে কাশীপুর রাজার নায়েব, তা থেকেই জমিদারি। কয়লা খনির মালিকানা থেকে অর্থ, প্রতিপত্তি। এলাকায় নাম ডাক হয় রায় পরিবারের। ব্রিটিশদের কাছ থেকে জমিদার উপাধি পান বেলরুইয়ের রায়রা। আনুমানিক ২০০ বছর আগে শুরু হয়েছিল দুর্গাপুজো। জমিদারি নেই। কিন্তু জমিদার বাড়ির দালান রয়েছে। রয়েছে জমিদারির মেজাজও। তাই রয়েছে গুলি ছোঁড়ার প্রথা। তবে রায় পরিবারের সদস্য তথা কুলটি পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা বাচ্চু রায় ১৫ টি বন্দুক বের করার কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ৪ টি দু নলা রাইফেল ও ১টি রিভলভার ফাটানো হয়েছে। তবে সূত্রের খবর এখনও প্রায় ২০ টি সচল বন্দুক রয়েছে রায়দের পরিবারে। যদিও প্রত্যেকটি বন্দুকই বৈধ।

বছরে একবারই বন্দুকগুলি বের করা হয়। নবপত্রিকা বিসর্জনের আগে অস্ত্র পুজো হয় মন্দিরে। শান্তির জল ছেটানোর প্রক্রিয়া চলে মন্ত্রোচারণে। তারপরে বন্দুকের গুডুম গুড়ুম আওয়াজে কেঁপে ওঠে এলাকা। বন্দুকের ব্যারল পরিস্কার করা থেকে সার্ভিসিং, সবই নাকি করা হয় পুজোর আগেই। প্রবীণ থেকে যুবক, গৃহবধূ থেকে ছোটো-সকলের হাতেই বন্দুক ধরিয়ে দেওয়া হয়। শূন্য নল উঁচিয়ে গুলি ছোঁড়ে যে যার মতো। যদিও বন্দুক হাতে নিয়ে বালখিল্য আচরণে নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। অঘটন ঘটে যাওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে। তবে পরিবারের সদস্যদের দাবি কখনও কোনও অঘটন হয়নি।

[আরও পড়ুন: একদিনের ‘রাজা-রানি’ দর্শন, দশমীর পর ঝালদার রাজবাড়িতে শুরু অন্য উৎসব]

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ