ছবি: প্রতীকী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তারা ভয়ংকর। কিন্তু বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য বজায় রাখতে তাদের টিকে থাকা একান্তই দরকার। আর তাই বাঘ টিকিয়ে রাখার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই তৎপর পশুপ্রেমী সংগঠনগুলি। সুফলও মিলেছে। সংখ্যায় বাড়তে শুরু করেছে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগাররা (Tiger)। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে ভয় ধরাচ্ছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। সেখানে যেভাবে বাড়ছে বাঘের চোরাশিকার ও পাচার, তা সত্যিই আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে।
বাঘ সংরক্ষণকারী সংস্থা প্যান্থেরা ও চাইনিজ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেসের নতুন গবেষণা থেকে যে ছবি ফুটে উঠছে তা প্রাণীবিদদের কপালে ভাঁজের সৃষ্টি করছে। তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশের সুন্দরবন, উত্তর মায়ানমার ও উত্তরপূর্ব ভারতে রমরমিয়ে চলছে বাঘ পাচার। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর পরিস্থিতি বাংলাদেশে। ‘কনজার্ভেশন সায়েন্স অ্যান্ড প্র্যাকটিস’ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্র থেকে জানা যাচ্ছে, প্রাথমিক ভাবে বাংলাদেশের অন্তর্গত সুন্দরবনের দিকে সেভাবে নজর ছিল না ওয়াকিবহাল মহলের। কিন্তু পরে দেখা যায়, বাংলাদেশ থেকে অন্তত ১৫টি দেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে চোরাশিকার হওয়া বাঘের দেহাংশ। এর মধ্যে চিন, মালয়েশিয়া ও ভারতের মতো দেশে সেগুলির চাহিদা সর্বোচ্চ।
বছর দুয়েক আগেই বাংলাদেশের মোস্ট ওয়ান্টেড চোরাশিকারি হাবিব তালুকদার ওরফে ‘টাইগার হাবিব’ গ্রেপ্তার হয়। সুন্দরবনে ত্রাসের আরেক নাম হয়ে উঠেছিল সে। প্রায় দুই দশকে ৭০টি বাঘ মারার পরে সে ধরা পড়ে। ঘুমন্ত অবস্থায় তাকে গ্রেপ্তার করে শরণখোলা থানার পুলিশ। কিন্তু তার গ্রেপ্তারির পরও ছবিটা বদলায়নি।
এদিকে ভারতের উত্তরপূর্বে বাঘের চোরাশিকারের কথা জানা গেলেও সামগ্রিক ভাবে ভারতে বাঘের সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। ২০১৮ সালের ব্যাঘ্র গণনায় দেশে সন্ধান মিলেছিল ২ হাজার ৯৬৭টি বাঘের। ২০২২ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে হয় ৩ হাজার ৬৮২টি। অর্থাৎ ২৩ শতাংশ বেড়েছে বাঘের সংখ্যা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.