সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘রাজা বলে, বৃষ্টি নামা নইলে কিচ্ছু মিলছে না।’ সুকুমার রায়ের ছড়ায় রোদে রাঙা ইটের পাজায় বসে রাজা যা হুকুম করেছিলেন তা তামিল করা যে সহজ নয়, সেটা সকলেরই জানা। যতই চড়চড়ে রোদ্দুর উঠুক আর প্রাণটা হাঁকপাঁক করুক বৃষ্টির ফোঁটার জন্য, প্রকৃতিকে কি বশ মানানো যায়? সম্প্রতি দুবাইয়ে যা ঘটল তা দেখে অবশ্য তাজ্জব সবাই। বাড়তে থাকা গরমের সঙ্গে পাল্লা দিতে ‘কৃত্রিম’ বৃষ্টি (Fake rain) ঘটানো হল শহরের বুকে। সেই বৃষ্টির ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা দেখে বিস্মিত সবাই। এও সম্ভব?
দীর্ঘদিন ধরেই কষ্ট পাচ্ছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর (UAE) শহর দুবাইয়ের (Dubai) বাসিন্দারা। তাপমাত্রা ছুঁয়েছিল ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের পারদ। স্বাভাবিক ভাবেই বৃষ্টির অপেক্ষায় চাতকের মতো অবস্থা হয়েছিল সকলের। অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে আকাশ থেকে নেমে এল মুষলধারে বৃষ্টির দাপট। সৌজন্যে ড্রোন টেকনোলজি (Drone technology)। তার সাহায্যেই সম্ভব হল এই ‘অসম্ভব’।
Planning works! started to invest $15 million in 2017 in 9 rain making projects. So this is the result of heavy fake rain now in July to beat the heat and replenishing water sources.
— Shahriar Sabet (@shahriarsabet)
‘গালফ টুডে’ সংবাদপত্র সূত্রে জানা যাচ্ছে, আগে থেকেই আবু ধাবির পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল কোন সময়ে বৃষ্টি নামানো হবে। সেই সময় যে বৃষ্টির দাপটে গাড়ির চালকদের দৃশ্যমানতার সমস্যায় পড়তে হবে সে ব্যাপারেও সতর্ক করে দেওয়া হয়।
কিন্তু ঠিক কীভাবে সম্ভব এমন কৃত্রিম বৃষ্টিপাত? আসলে এর মূলে রয়েছে মেঘ বপন পদ্ধতি। যা সম্ভবপর হয় ড্রোন টেকনোলজির সাহায্যে। ড্রোনের সাহায্যে মেঘের ভিতরে ইলেকট্রিক্যাল চার্জ ছেড়ে দেওয়া হয়। আর তার ফলেই সেই মেঘ হয়ে ওঠে বৃষ্টিসম্ভবা।
আসলে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর মতো দেশে বৃষ্টি খুবই বিরল। বছরে ১০ সেন্টিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয় না। কেবল সংযুক্ত আরব আমিরশাহীই নয়, আরব তথা মধ্যপ্রাচ্যের দেশে এ এক বিরাট সমস্যা। তাই এই ধরনের প্রযুক্তির সাহায্যেই বৃষ্টি ঘটানোর দিকে হাঁটা ছাড়া উপায় নেই। ইতিমধ্যেই আমেরিকার কিছু দেশেও এই পদ্ধতিতে বৃষ্টিপাত ঘটানো শুরু হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.