Advertisement
Advertisement

Breaking News

Rishabh Pant

‘ডিগবাজি খেয়ে সেলিব্রেশন কোরো না’, পন্থকে সাবধান করলেন সুস্থ করে তোলা চিকিৎসক

আবার চোট পেলে বিপদ বাড়তে পারে ভারতীয় উইকেটরক্ষকের।

'Don't celebrate by eating vault', warns Rishabh Pant's doctor who recovered

ছবি পিটিআই

Published by: Prasenjit Dutta
  • Posted:June 29, 2025 4:33 pm
  • Updated:June 29, 2025 4:37 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লিডসে প্রথম টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরির মালিক ঋষভ পন্থ। টিম ইন্ডিয়া হেরে গেলেও ভারতীয় উইকেটরক্ষকের ব্যাটিং সুনাম কুড়িয়ে নিয়েছে। তবে, খুশি হতে পারেননি পন্থকে সুস্থ করে তোলা বিখ্যাত অর্থোপেডিক সার্জন দীনেশ পারদিওয়াল। যদিও তাঁর অখুশির কারণটা ভিন্ন। আসলে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ডিগবাজি খেয়ে সেলিব্রেশন করেছিলেন পন্থ। কিন্তু পারদিওয়াল মনে করেন, এমন সেলিব্রেশন একেবারেই নিষ্প্রয়োজন।

Advertisement

শোয়েব বশিরের বলে এক হাতে বিরাট একটা ছক্কা মেরে ১৪৬ বলে শতরান করেছিলেন ২৭ বছরের এই ক্রিকেটার। আর তারপর ডিগবাজি খেয়ে সেলিব্রেশনে মেতে ওঠেন তিনি। আইপিএলের শেষ ম্যাচে আরসিবি’র বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করেও একইভাবে উল্লাসে মেতে উঠেছিলেন পন্থ। একমাস পর যেন তারই ‘রিপিট টেলিকাস্ট’ দেখেছে ক্রিকেটবিশ্ব। তবে ডা. পারদিওয়াল বলেন, “ছোটবেলা থেকেই জিমন্যাস্টিক করে পন্থ। তাই খুব সহজেই ডিগবাজি খেতে পারে ও। সেই কারণেই হয়তো অমন ডিগবাজি খেয়ে সেলিব্রেশন করেছে। কিন্তু আমি ওকে বলব, এমন সেলিব্রেশন কোরো না। এই মুহূর্তে তার কোনও দরকার ছিল না।”

কেন এমন মনে করেন পারদিওয়াল? ৩০ ডিসেম্বর, ২০২২ সালে গাড়ি দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছিলেন তিনি। এত বড় একটা দুর্ঘটনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন পন্থ। সেই কারণে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করা উচিত বলে মনে করা উচিত বলে মনে করেন ডা. পারদিওয়াল। এই প্রসঙ্গে তাঁর সংযোজন, “ওর বেঁচে থাকাটাই আশ্চর্যের। এটা ওকে বুঝতে হবে। যেভাবে গাড়িটা উলটে আগুন ধরে গিয়েছিল, তাতে মৃত্যুর ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছে ও। সম্বিত ফিরে পেয়ে পন্থ প্রথমে একটাই প্রশ্ন করেছিল, ‘আমি কি আবার খেলতে পারব?’ তবে হ্যাঁ, এই দুর্ঘটনার পর পন্থ অনেক পরিণত। জীবনের প্রতি ওর ভাবনাটাই বদলে গিয়েছে। আসলে মৃত্যুকে এত কাছ থেকে দেখেছে। সেই কারণে এই পরিবর্তন আসাটা স্বাভাবিক। তবে ওকে এটা বুঝতে হবে, আবার চোট পেলে বিপদ বাড়বে। তাই এভাবে ভল্ট খেয়ে সেলিব্রেশন না করাই ভালো।”

দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি থেকে যখন বের করে আনা হয় পন্থকে, তখন তাঁর গোটা শরীরে কাচের টুকরো বিঁধে গিয়েছিল। পিঠের মাংস ছিঁড়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন কিন্তু সহজ নয়। কিন্তু জীবনে যে অসম্ভব বলে কিছু হয় না, তা প্রমাণ করে দেখিয়েছেন পন্থ। এর জন্য তাঁকে লড়তে হয়েছে ৬৩৫ দিনের লড়াই। সহ্য করতে হয়েছে একাধিক অস্ত্রোপচার, ফিজিওথেরাপি-সহ অকল্পনীয় যন্ত্রণা। তাই হয়তো ‘মৃত্যুঞ্জয়’ পন্থকে সাবধান করে দিলেন চিকিৎসক দীনেশ পারদিওয়াল।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ