স্টাফ রিপোর্টার : এমনিতে দিল্লিতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি খেলার অভিজ্ঞতা ভালো নয়। বুধবারের আগের শেষ সাক্ষাতে হারের স্বাদ পেয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। বুধ-সন্ধ্যায় পরপর দুই ওপেনার আর অধিনায়ক ডাগআউটে ফেরার পর সেই স্মৃতিই যেন ফিরে আসছিল।
তবে শেষ পর্যন্ত পুনরাবৃত্তি হল না ইতিহাসের। আর সেই পুনরাবৃত্তি ঠেকানোর প্রধান নায়ক নিশ্চিতভাবেই নীতীশ রেড্ডি। আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে নজর কেড়েছিলেন। সেই সুবাদে ঢুকে পড়েছেন জাতীয় টি-টোয়েন্টি দলের বৃত্তে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে খেললেন ৩৪ বলে ৭৪ রানের একটা ঝকঝকে ইনিংস। শুধু তাই নয়, চতুর্থ উইকেটে রিঙ্কু সিংয়ের সঙ্গে তাঁর ৪৯ বলে ১০৮ রানের পার্টনারশিপেই বদলে যায় ম্যাচের রং। আর এই ইনিংসের জন্য কোচ গৌতম গম্ভীরকেই কৃতিত্ব দিচ্ছেন নীতীশ। “রান করা নিয়ে বিশেষ কোনও পরিকল্পনা ছিল না আমাদের। বাংলাদেশের স্পিনারদের আক্রমণে আসতে দেখে মনে হয়েছিল, এই ওভারগুলো কাজে লাগাতে হবে। আর সেজন্য গৌতম স্যরকে ধন্যবাদ দিতে চাই। কারণ তিনি আমার উপর ভরসা রেখেছিলেন। শুধু তাই নয়, আমাকে বোলিং নিয়েও আত্মবিশ্বাসী করেছেন তিনি। বলেছিলেন, বল করার সময় নিজেকে পুরোপুরি বোলার ভাববে। এমন ভাববে না যে তুমি একজন ব্যাটার যে বল করতে পারে। সেই কথাটাই আমাকে উদ্বুদ্ধ করেছিল।”
ব্যাট হাতে দুরন্ত ইনিংসের পর বোলিংয়ের সাফল্য পেয়েছেন নীতীশ, নিয়েছেন দু’টি উইকেটও। সেই সুবাদে দিল্লিতে ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথমবার সেরার পুরস্কার পেয়ে নীতীশ বলেন, “ভারতের হয়ে খেলাটাই গর্বের বিষয়। তার সঙ্গে ম্যাচের সেরা হওয়াটা বাড়তি পাওনা। আপাতত এই মুহূর্তটা উপভোগ করতে চাই।” তিন ম্যাচের সিরিজের ফলাফল দু’ম্যাচেই নির্ধারিত হয়ে গিয়েছে। ফলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তৃতীয় টি-টেয়োন্টি এখন ভারতের কাছে একেবারেই নিয়মরক্ষার। এই নিয়ে ঘরের মাঠে টানা ১৬ টি-টোয়েন্টি সিরিজে অপরাজিত ভারত, দু’নম্বরে থাকা অস্ট্রেলিয়া জিতেছে এর অর্ধেক সিরিজ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.