ফাইল ছবি
স্টাফ রিপোর্টার: লিডসে প্রথম টেস্টে ভারতীয় বোলারদের মধ্যে কাউকে যদি কম বোলিং করানো হয়ে থাকে, তা হলে তাঁর নাম শার্দূল ঠাকুর। হেডিংলি টেস্টের দু’ইনিংস মিলিয়ে মাত্র ১৬ ওভার বোলিং করেছেন শার্দূল (Shardul Thakur)। ৮৯ রান দিয়ে নিয়েছেন দু’টো উইকেট। ভারতীয় অলরাউন্ডারকে পর্যাপ্ত বোলিং না করানো নিয়ে কড়া প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে দেশের নতুন টেস্ট অধিনায়ক শুভমান গিলকে। এবং সিদ্ধান্তজনিত কারণে বিপাকে পড়তে দেখে গিলের পাশে দাঁড়িয়েছেন ভারতীয় কোচ গৌতম গম্ভীর। শার্দূলকে ‘আন্ডারবোলিং’ করানোর সিদ্ধান্তকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে। কিন্তু তাতে আদৌ লাভের লাভ হবে তো? আগামী ২ জুলাই থেকে শুরু হতে চলা বার্মিংহামে দ্বিতীয় টেস্টে শার্দূলকে খেলালে ফের ভুগতে হবে না তো?
ওয়াকিবহাল মহলের অনেকেরই মনে হচ্ছে, লিডস টেস্টে যা পারফরম্যান্স শার্দূলের, তারপর তাঁকে ফের বার্মিংহ্যাম টেস্টে নামানোর কোনও যুক্তি নেই। বলে তবু দু’উইকেট নিলেও ব্যাট হাতে কিছুই করতে পারেননি ভারতীয় অলরাউন্ডার। দু’ইনিংস মিলিয়ে খেলেছেন কুড়িখানা বল। করেছেন মাত্র ৫ রান। তার উপর ফিল্ডিংয়েও শার্দূলের ঢিলেমি নজর এড়ায়নি। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন, স্পেশালিস্ট বোলিং অলরাউন্ডার খেলিয়ে কী লাভ, যদি তাঁর উপর ভরসাই না করা যায়? শার্দূলে পর্যাপ্ত আস্থা থাকলে নিশ্চয়ই তাঁকে দিয়ে দু’ইনিংসে মাত্র ১৬ ওভার বোলিং করানো হত না। লিডসে পাঁচ দিনের মধ্যে সাড়ে চার দিন ধরে ভারত দাপুটে ক্রিকেট খেললেও শেষ পর্যন্ত টেস্ট জিততে পারেনি। পাঁচ উইকেটে হারতে হয়েছে। যে হার বিপদের পাগলাঘণ্টি না বাজালেও বার্মিংহাম টেস্টে কয়েকটা বদলের দাবি তুলছে। সর্বাগ্রে যেমন শার্দূলকে বসিয়ে কুলদীপ যাদবকে খেলানোর কথা উঠছে।
প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার সঞ্জয় মঞ্জরেকর যেমন সরাসরি বলেছেন, বার্মিংহামে শার্দূলকে বসিয়ে কুলদীপকে খেলানো হোক। সম্প্রচার সংস্থায় মঞ্জরেকর বলে দিয়েছেন, “কুলদীপকে ফেরাতেই হবে। আর কোনও রাস্তা নেই। বলতে খারাপ লাগছে, কিন্তু শার্দূলকে বসতে হবে। এই একটা বদল ভারতকে দ্বিতীয় টেস্টে করতেই হবে। আমি প্রথম টেস্টে নীতীশ কুমার রেড্ডিকে খেলানোর পক্ষে সওয়াল করেছিলাম। কিন্তু সেটা পুরোটাই অস্ট্রেলিয়ায় ও যে পারফরম্যান্স করেছিল, তার উপর ভিত্তি করে। কিন্তু নীতীশকে খেলালে ব্যালান্স কিছুটা আক্রান্ত হত, সেটাও ঠিক। কারণ, চতুর্থ সিমারের কাজ ও সেভাবে করতে পারে না। ইংল্যান্ডের পিচে আপনাকে ভালো বোলার খেলাতে হবে। তাতে যদি দুই স্পিনার খেলানোর প্রয়োজন পড়ে, অসুবিধে কী?” একা মঞ্জরেকর নন। ‘লর্ড অফ দ্য লর্ডস’ যাঁকে বলা হয়, সেই দিলীপ বেঙ্গসরকরও বলে দিয়েছেন, “চার সিমার নিয়ে নামার মানে নেই। হয় শার্দূল, না হলে প্রসিদ্ধ, দু’জনের একজন খেলুক। কিন্তু কুলদীপকে খেলাতেই হবে।”
তবে ঋষভ পন্থ তাঁর দুই ইনিংসের সেঞ্চুরির জন্য প্রশংসা পেলেন গ্রেগ চ্যাপেলের থেকে। গ্রেগ বলেন, “ঋষভকে দেখে মনে হচ্ছে নিজের ব্যাটিংকে যেন নতুন করে আবিষ্কার করছে। ওর শট অবশ্যই ক্রিকেটীয় অভিধানের বাইরে। প্রথম যখন ওকে দেখি গিলক্রিস্টকে মনে পড়েছিল।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.