প্রসূন বিশ্বাস: ২২ বছর আগে আজকের দিনেই আশিয়ান কাপ জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। আর শনিবাসরীয় রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে মরশুমের প্রথম ডার্বি মশাল বাহিনী জিতল ৩-২ গোলে। এমন হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচের পর সবুজ-মেরুন কোচ ডেগি কার্ডোজা সাংবাদিক সম্মেলনে দলের তরুণ ফুটবলারদের অদম্য লড়াইয়ের প্রশংসা করেছেন। অন্যদিকে, ইস্টবেঙ্গল কোচ বিনো জর্জ সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। আশিয়ান জয়ের দিনে সবুজ-মেরুনকে হারিয়ে খুশি তিনিও।
ইস্টবেঙ্গল কোচ বিনো জর্জ বলেন, “সমর্থকদের অনেক ধন্যবাদ। তাঁরা যেভাবে মাঠে এসে দলকে সমর্থন জুগিয়েছেন, তার তুলনা হয় না। দলের তরুণ ফুটবলারও খুব ভালো খেলেছে। মোহনবাগানও দারুণ খেলেছে। ডেভিডের মতো ফুটবলার দলে থাকায় আমাদের দল আরও শক্তিশালী হয়েছে। বাকিদের খেলাতেও খুশি। ওরা দায়িত্ব নিয়ে দলকে জিতিয়েছে। ডার্বিতে জেতার পর আমাদের দল আত্মবিশ্বাসী হয়ে পরের ম্যাচগুলোতে মাঠে নামবে। ২০০৩ সালে আজকের দিনে আশিয়ান কাপ জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। এই বিশেষ এক গর্বের দিনে ডার্বিতে জিতে ভালো লাগছে।”
কার্ডোজা বলেন, “খেলায় হারজিত আছে। আমরা জেতার জন্যই মাঠে নেমেছিলাম। শেষমেশ জিততে না পারলেও তরুণ ফুটবলারদের বড় ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা হল। ডার্বি নিয়ে আমাদের প্রস্তুতি ভালোই ছিল। তরুণ খেলোয়াড়দের কাছে ভালো সুযোগ ছিল। ওরা ভালো খেলেছে। তাই হতাশ হওয়ার মতো কিছু নেই। দীপেন্দু বিশ্বাস, সুহেল ভাট এবং কিয়ান নাসিরিরাও এ ম্যাচে খেলেছে। পিছিয়ে পড়েও অসাধারণ খেলেছে প্রত্যেকে। ওদের খেলায় হতাশ হইনি। তাছাড়াও আমাদের অনূর্ধ্ব-১৬ এবং অনূর্ধ্ব-১৭’র ফুটবলাররাও নিজেদের উজাড় করে দিয়েছে।”
৯ মিনিটেই জেসিন টিকের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। প্রথমার্ধ শেষের ঠিক আগে লাল-হলুদের হয়ে ব্যবধান বাড়ান সায়ন। প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। মোহনবাগান পাসাং দোরজি তামাংকে নামাতেই ম্যাচের ছবিটা বদলাতে শুরু করে। মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ক্রমাগত আক্রমণে উঠতে শুরু করে মোহনবাগান। খেলার বয়স তখন ৫৩ মিনিট। কর্নার থেকে ভেসে আসা ফিরতি বলে গোলার মতো শটে ব্যবধান কমান লেওয়ান। ৬৭ মিনিটে সমতা ফেরান কিয়ান। কিন্তু ঠিক পরের মিনিটেই আমনের ক্রস থেকে ডেভিড ৩-২ করে দেন। গোল করে ও করিয়ে নায়ক লাল-হলুদের সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.