সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি দৃষ্টিশক্তিহীন। কিন্তু মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন, “আপনি শারীরিকভাবে অক্ষম হোন বা স্বাভাবিক হোন, আপনার চোখের দৃষ্টি হারিয়ে যাক বা হাত-পা না থাক, যদি আপনি মানসিকভাবে দুঢ় এবং শক্তিশালী হোন, তাহলে কোনও প্রতিবন্ধকতাই প্রতিবন্ধকতা নয়।” কথা হচ্ছে চিনের দৃষ্টিশক্তিহীন পর্বতারোহী ঝ্যাং হংয়ের। যিনি কিনা সদ্যই বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট (Mount Everest ) জয় করেছেন। এবার তাঁর লক্ষ্য বিশ্বের সব মহাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ জয়।
I summited Everest!
AdvertisementI would like to thank my family, my guides, the folks at Fokind Hospital, and who have been extremely supportive of my journey.
This is only the beginning as I would like to climb the
More pictures coming soon!
— Blind Mountaineer Zhang Hong 张洪 (@Zhang_Hong_76)
গোটা বিশ্বের তৃতীয় দৃষ্টিহীন ব্যক্তি হিসেবে এই বিরল কীর্তি গড়েছেন ঝ্যাং (Zhang Hong)। গত ২৪ মে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গে পদার্পণ করেন তিনি। সুস্থভাবে ফিরে এসেছেন কাটমাণ্ডুতে। এভারেস্ট জয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দৃষ্টিশক্তি থাকুক বা না থাকুক, এটা কোন বিষয় না। দৃঢ় মনোবল থাকা জরুরি।” টুইটারে তিনি নিজেই জানিয়েছেন, প্রথম দৃষ্টিহীন হিসেবে মার্কিন পর্বতারোহী এরিক ওয়েইহেনমায়ের এভারেস্ট জয় করেছিলেন। তাঁকেই নিজের আদর্শ মনে করেন ঝ্যাং। দ্বিতীয় আরোহী হিসেবে এই কীর্তি গড়েন অস্ট্রিয়ার এক ব্যক্তি। তারপরই এভারেস্টের চূড়ায় উঠলেন ঝ্যাং।
ঝ্যাং হংয়ের জন্ম চিনের দক্ষিণাঞ্চলের শহর চংকিংয়ে। গ্লুকোমার (Glucoma) কারণে মাত্র ২১ বছর বয়সে দৃষ্টিশক্তি হারান তিনি। আপাতত তিব্বতের একটি হাসপাতালে কাজ করেন। এভারেস্ট জয়ের আগে পাঁচ বছর ধরে ট্রেনিং করেছেন তিনি। পর্বতারোহনের প্রশিক্ষণ নেন বন্ধু ও পর্বতারোহী গাইড কিয়াং জি’র কাছে। এভারেস্ট জয়ের এই সফর যে খুব কঠিন ছিল, সেটা ঝ্যাংয়ের কথাতেই পরিষ্কার। তিনি বলছেন,”এটা খুব কঠিন কাজ ছিল। কারণ আমি দেখতে পাচ্ছিলাম না কোথায় হাঁটছি। অনেক সময় মধ্যাকর্ষণের কেন্দ্র খুঁজে পেতাম না। মাঝে মাঝেই পড়ে যেতাম। কিন্তু এটাই পর্বতারোহনের বৈশিষ্ট। এখানে প্রতিবন্ধকতা এবং বিপদ থাকবেই।” ৪৪ বছরের ওই পর্বতারোহীর পরবর্তী টার্গেট বিশ্বের সবকটি মহাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গজয়। আসলে আগামী দিনে বিশ্বজুড়ে প্রতিবন্ধীদের অনুপ্রেরণা দিতে চান ঝ্যাং। তিনি বলছেন,”আজ আমি সফল। আমার মনে হয় গোটা বিশ্বে এবং এশিয়ায় আমার মতো অসংখ্য দৃষ্টিহীন ব্যক্তি রয়েছেন। আর আমি তাঁদের জন্য অনুপ্রেরণার কারণ হতে পারি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.