Advertisement
Advertisement
পুজো

পুজোর শহরে জল সংরক্ষণের বার্তা দেবে কাশী বোস লেন সর্বজনীনের মণ্ডপ

এক জ্বলন্ত সমস্যা চাক্ষুষ করাবেন শিল্পী প্রদীপ দাস।

Kashi Bose Lane Durga Puja 2019 theme is water conservation
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:September 20, 2019 4:09 pm
  • Updated:September 20, 2019 4:09 pm  

পুজো প্রায় এসেই গেল৷ পাড়ায় পাড়ায় পুজোর বাদ্যি বেজে গিয়েছে৷ সেরা পুজোর লড়াইয়ে এ বলে আমায় দেখ তো ও বলে আমায়৷ এমনই কিছু বাছাই করা সেরা পুজোর প্রস্তুতির সুলুকসন্ধান নিয়ে হাজির betvisa888.com৷ আজ পড়ুন কাশী বোস লেন সর্বজনীনের পুজো প্রস্তুতি৷

Advertisement

শুভময় মণ্ডল: এক ভয়ংকর সংকটের মুখে দাঁড়িয়ে আছে গোটা বিশ্ব। জল মানেই যে জীবন, সেই জলই এখন নিঃশেষের মুখে। বিশ্বজুড়ে বেড়ে চলা নগরায়ন এবং উষ্ণায়নের প্রভাবে ক্রমশ কমছে মাটির নিচের জলস্তর। সেই ভয়াবহ সংকটের আঁচ পড়েছে ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশেও। প্রভাব থেকে বাদ নেই প্রাণের শহর কলকাতাও। এই জ্বলন্ত সমস্যাকেই এবার পুজোমণ্ডপে তুলে ধরে জল সংরক্ষণের বার্তা দেবে এবার কাশী বোস লেন সর্বজনীন। ৮২তম বর্ষে তাদের নিবেদন ‘অস্তিত্ব’। তাদের ক্যাচলাইন ‘বিন্দু বিন্দু দিয়ে গড়ব সিন্ধু’। সৃজনে শিল্পী প্রদীপ দাস।

শিল্পী জানিয়েছেন, এক কাল্পনিক প্রাচীন সভ্যতাকে পুজোমণ্ডপে তুলে ধরা হচ্ছে। যে শহরে জলের আধার রয়েছে, ঘাট রয়েছে। স্নান করার জায়গা রয়েছে। সেখানে দেবীর আরাধনাও হচ্ছে। কিন্তু কোথাও জল নেই। সব জলাধার শূন্য। জলের অভাবে কীভাবে একটা সভ্যতা বিলুপ্তির পথে চলেছে সেই কাল্পনিক বাস্তবতাকে তুলে ধরা হচ্ছে মণ্ডপে। দর্শনার্থীদের এক জ্বলন্ত সমস্যা চাক্ষুষ করাবেন শিল্পী তাঁর থিমভাবনা দিয়ে। প্রদীপ জানাচ্ছেন, অত্যাধিক জল ব্যবহারের ফলে একটা সভ্যতা বিলুপ্তির পথে তাই ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে। ভাবনাটা স্পষ্ট, অযথা জল নষ্ট করার জন্য একদিন তিলোত্তমারও হাল এই সভ্যতার মতো না হয় তার জন্য সচেতন করা হবে থিমের মাধ্যমে।

[আরও পড়ুন: শিল্পীর হাত ধরে এবার সোনায় মুড়বে উত্তর কলকাতার এই পুজো মণ্ডপ]

বিভিন্ন স্তরে ভাগ করা হয়েছে গোটা মণ্ডপকে। প্রথম ভাগে দেখা যাবে, নদী তীরবর্তী একটা সভ্যতা কীভাবে জলের অভাবে ধ্বংসের মুখে। জল নেই কোথাও। জলস্তর নেমে যাওয়ায় করুণ অবস্থা সাধারণ মানুষের। তার পরের ধাপে দেখা যাবে, সমস্ত প্রাণ জীবাশ্মে পরিণত হয়েছে। তার মধ্যে ভগবান বিষ্ণু জলের মধ্যে অধিষ্ঠিত। আর ডুবুরিরা বিষ্ণুকে ধরার চেষ্টা করছেন। শেষ ভাগে দেবী দুর্গা। এখানে গঙ্গারূপী দেবীকে আরাধনা করা হচ্ছে। শহর কলকাতার অন্যতম জলের উৎস হল গঙ্গা। সেই দেবী গঙ্গাই প্রাণদায়িনী কলকাতার। সেই দেবীর কাছেই জলের জন্য প্রার্থনা করছে শহরবাসী। জলের জন্য মানুষের হাহাকারই এই মণ্ডপের উপজীব্য। কাল্পনিক এক বাস্তবতাকে মানুষের সামনে তুলে ধরে জল সংরক্ষণের বার্তা দিচ্ছে এবার কাশী বোস লেন।

গতবছর নস্ট্যালজিয়া উসকে হারিয়ে যাওয়া বারান্দা ফিরিয়ে দিয়েছিল কাশী বোস লেন সর্বজনীন। এবার অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ও জ্বলন্ত সমস্যাকে দর্শনার্থীদের সামনে উপস্থাপন করতে চলেছে তারা। জল সংরক্ষণের বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছয় সেটাই এবার দেখার।

কীভাবে সেজে উঠছে মণ্ডপ, দেখুন ভিডিওয়-

 

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement