Advertisement
Advertisement

Breaking News

নারকেল গাছের উপর কে কাঁদে?

যে যত বড় সাহসীই হোক না কেন মাঝরাতে যদি হঠাৎ বাড়ির খুব কাছে শিশুর কান্না আর গোঙানির আওয়াজ ভেসে আসে, তবে ভয় তো লাগবেই৷

This Indian Family Was Haunted By A Baby’s Laughter. What Was Discovered Was Unexpected
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 30, 2016 2:58 pm
  • Updated:July 30, 2016 2:58 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যে যত বড় সাহসীই হোক না কেন মাঝরাতে যদি হঠাৎ বাড়ির খুব কাছে শিশুর কান্না আর গোঙানির আওয়াজ ভেসে আসে, তবে ভয় তো লাগবেই৷ আরও বেশি ভয় লাগবে যখন পুরোহিত ডেকে পুজোপাঠ করানো হলেও থামবে না সেই কান্না৷ একটানা রোজ শিশুর কান্না চলতেই থাকবে৷

এমনই ঘটনা ঘটল গোবিন্দর পরিবারের সঙ্গে৷ বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা গোবিন্দর বাড়ির পাশেই রয়েছে এক সারি নারকেল গাছ৷ সেখান থেকেই মাঝেমধ্যে ভেসে আসছিল কান্নার আওয়াজ৷ দিনে-রাতে হঠাৎ করে ভেসে আসা এই আওয়াজ খুব স্বাভাবিকভাবেই ভীতির সঞ্চার করেছিল পরিবারের সদস্যদের মনে৷

আর খুব স্বাভাবিকভাবেই সকলেই এই কাণ্ডকে ভৌতিক বলেই মেনে নিয়েছিলেন৷ বাড়ি থেকে অশরীরীকে বিদায় করতে পুজোপাঠ করানোর সিদ্ধান্ত নেন পরিবার৷ জ্যোতিষীর কাছে যাওয়া হলে তিনি বলেন ওই গাছে প্রেতাত্মার বাস৷ শুনে আতঙ্ক আরও বেড়ে যায় বৈকি৷

কিন্তু এতকিছুর পরেও সমস্যার সমাধান মিলল না৷ গাছের ভূত গাছেই রয়ে গেল৷ কিন্তু অবশেষে ভূতের সন্ধানে সিনা পূজারী হাজির হলেন৷ সিনা আসলে নারকেল পারার কাজ করেন৷ গোবিন্দর বাড়ির গাছগুলি থেকেও তিনিই নারকেল পারতেন৷ আর তিনি আসলে ভূতের সন্ধানে গোবিন্দর বাড়িতে আসেননি৷ এসেছিলেন নিজের হারিয়ে যাওয়া ফোনের সন্ধানে৷ সিনা গাছ বেয়ে উঠে নিজের ফোনটি গাছ থেকে নামিয়ে আনেন যেটি তিনি কয়েকদিন আগে ভুল করে গাছে রেখেই চলে গিয়েছিলেন৷

ঘটনাচক্রে মনে করতে পারছিলেন না কোথায় ফোনটি ফেলে গিয়েছেন তিনি৷ আর তাই মাঝেমধ্যেই নিজের নম্বরে ফোন করতেন৷ আর সেই শিশুর ভৌতিক কান্নার রিংটোন বেজে উঠত নারিকেল গাছের মাথায়৷ আর গোবিন্দ এবং তাঁর পরিবার ভাবতেন আবার বুঝি শুরু হল অশরীরীর উৎপাত৷

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement