সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েকঘণ্টার মধ্যেই শেষ হচ্ছে পাকিস্তান-আফগানিস্তানের সাময়িক সংঘর্ষবিরতির মেয়াদ। এহেন পরিস্থিতিতে দুই ‘বন্ধু’র সংঘাত নিয়ে মুখ খুলল চিন। তাদের বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতির পথে হাঁটুক দুই প্রতিবেশী দেশ। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মেটানো দরকার। এমনকি কাবুল-ইসলামাবাদের সমস্যা মেটাতে সাহায্যের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে বেজিং।
চলতি বছরে অপারেশন সিঁদুরের পর বেশ উদ্যোগী হয়েছিল এই তিন দেশের অক্ষ। চিন সফরে গিয়েছিলেন তালিবান বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি। সেখানে চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই এবং পাক বিদেশমন্ত্রী ইশাক দারের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। তারপরেই জানা গিয়েছে, আফগানিস্তানেও চিন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডরকে পৌঁছে দিতে রাজি হয়েছেন তালিবান বিদেশমন্ত্রী। পাক বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়, আঞ্চলিক সুরক্ষা, স্থিতাবস্থা এবং উন্নয়নের লক্ষ্যে একজোট থাকবে চিন, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান। উল্লেখ্য, এই করিডর নিয়ে বরাবরই প্রবল আপত্তি জানিয়ে এসেছে ভারত। তা সত্ত্বেও CPECতে সায় দিয়েছেন তালিবান বিদেশমন্ত্রী।
কিন্তু গত শুক্রবার থেকে রক্তক্ষয়ী সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান। কাবুলে বিমানহানা করে পাকিস্তান, জঙ্গি দমনের নামে। পালটা তালিবান বাহিনী সীমান্ত এলাকার পাক সেনাঘাঁটিতে হামলা চালায়। সূত্রের খবর, এই হামলার পরেই ‘বন্ধু’ সৌদি আরব এবং কাতারের সঙ্গে আলোচনা করে পাকিস্তান। যদিও সরকারিভাবে এই ফোনালাপের বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। তারপরেই ৪৮ ঘণ্টার সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয় পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান।
শুক্রবার পাক সময় সন্ধে ৬টায় সংঘর্ষবিরতির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এহেন পরিস্থিতিতে চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র লান জিয়ান বলেন, “সাময়িক সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয়েছে পাকিস্তান আর আফগানিস্তান। তবে আমরা চাই গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে দুপক্ষ সমাধান খোঁজার চেষ্টা করুক। আঞ্চলিক স্থিতাবস্থা বজায় রেখে, দুপক্ষের দাবিকে মান্যতা দিয়ে আলোচনা হোক, চিন সেটাই চায়।” বেজিংয়ের তরফে আরও জানানো হয়েছে, শান্তি ফেরাতে তারা সাহায্য করতে আগ্রহী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.