Advertisement
Advertisement

Breaking News

Coca-Cola

ট্রাম্পের নির্দেশেই স্বাদ বদল কোকাকোলার! কী পরিবর্তন বিশ্ব বিখ্যাত পানীয়তে?

সম্প্রতি কোকাকোলার স্বাদ বদলের কথা ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প।

Coca-Cola Confirms Launch Of Cane Sugar Coke In US After Push From Donald Trump
Published by: Subhodeep Mullick
  • Posted:July 24, 2025 3:08 pm
  • Updated:July 24, 2025 3:08 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকায় স্বাদ বদলাতে চলেছে কোকাকোলার! সৌজন্যে খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প! তাঁর কথাতেই এবার থেকে আখের রসের চিনি দিয়ে তৈরি হবে জনপ্রিয় এই পানীয়। সম্প্রতি সংস্থাটির তরফ থেকে এটি নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে আমেরিকার বাজারে কবে থেকে এই নতুন স্বাদের কোকাকোলা মিলবে, তা এখনও জানা যায়নি। সংস্থাটির তরফে জানানো হয়েছে, আমেরিকার বাজারে শীধ্রই এই নতুন স্বাদের কোকাকোলা পাওয়া যাবে। যেটি তৈরি হবে আখের রসের চিনি দিয়ে। পানীয়গুলিতে বৈচিত্র আনার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

কয়েকদিন আগে ট্রাম্প তাঁর সোশাল মিডিয়া ট্রুথ সোশালে বলেন, “আমেরিকায় কোকাকোলা যাতে আখের রসের চিনি দিয়ে তৈরি হয়, তা নিয়ে আমি সংস্থার সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আমার কথায় রাজি হয়েছে। সংস্থার সবাইকে আমি ধন্যবাদ জানাই। তারা ভালো পদক্ষেপ করেছে।” কিন্তু তখন ট্রাম্পের এই দাবিতে শিলমোহর দেয়নি সংস্থাটি। তবে এবার আনুষ্ঠানিকভাবে কোকাকোলার স্বাদ বদলের কথা ঘোষণা করল সংস্থাটি। 

আসলে কোকাকোলায় যে মিষ্টি ব্যবহৃত হয়, তা উচ্চ ফ্রুকটোজ সম্পন্ন কর্ন সিরাপ দিয়ে তৈরি হয়। কিন্তু মার্কিন মুলুকে এবার আখের রসের চিনি দিয়েই তৈরি হবে কোকাকোলা।বর্তমানে মেক্সিকো, ব্রিটেন, আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে কোকাকোলা তাদের পানীয়ে আখের রস দিয়ে তৈরি চিনি ব্যবহার করে। কিন্তু ১৯৮৫ সাল থেকে আমেরিকায় কোকাকোলা তাদের পানীয়ে উচ্চ-ফ্রুক্টোজ সম্পন্ন কর্ন সিরাপ ব্যবহার করা শুরু করে। যার নেপথ্যে মূল কারণ হল – দেশে চিনির মূল্যবৃদ্ধি এবং কৃষি ভরতুকিতে নিয়ম পরিবর্তন। যদি কোকাকোলা আমেরিকায় ফের আখের রসের তৈরি চিনি ব্যবহার শুরু করে, তাহলে তা দেশটির কর্ন চাষি ও খাদ্যপ্রক্রিয়াজাত শিল্পের উপর চাপ তৈরি করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

কর্ন রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট এবং সিইও জন বোডে বলেন, “হাই-ফ্রুক্টোজ সম্পন্ন কর্ন সিরাপের বদলে আখের রস দ্বারা তৈরি চিনি ব্যবহার করলে আমেরিকার খাদ্যপ্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প মার খাবে। কমে যেতে পারে কৃষকদের আয়। এমনকী দেশের বাজারে বিদেশি চিনির আমদানি বেড়ে যেতে পারে- যার কোনও পুষ্টিগত উপকারিতাও নেই।”

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ