ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলি রাশিয়ার থেকে বিপুল পরিমাণ পণ্য আমদানি করে।’ রুশ তেল কেনা নিয়ে ভারত-মার্কিন কূটনৈতিক টানাপোড়েনের মাঝে এমনটাই জানিয়েছিল ভারত। নয়াদিল্লির প্রতিক্রিয়ার পর সংবাদমাধ্যমের সামনে এই প্রশ্নের মুখে পড়ে কার্যত ভ্যাবাচাকা খেলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আমতা আমতা করে বললেন, ‘তাই! বিষয়টা জানি না তো খোঁজ নিয়ে দেখব।’
কথায় বলে, ‘আপনি আচরি ধর্ম পরকে শেখান।’ তবে আমেরিকা অবশ্য সে সবের ধার ধারে না। ভারত-রুশ বাণিজ্যকে যুদ্ধের মেশিন বলে উল্লেখ করে শুল্ক তরবারি চালাতে শুরু করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন, “বাণিজ্যের জন্য ভারত ভালো অংশীদার নয়। তারা আমাদের সঙ্গে যথেষ্ট বাণিজ্য করে। কিন্তু আমরা তাদের সঙ্গে বাণিজ্য করি না। তাই ভারতের উপর আমরা ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছিলাম। কিন্তু আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে তা বৃদ্ধি করা হবে। কারণ, ভারত রাশিয়া থেকে তেল কিনছে এবং তারা ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে রাশিয়াকে সাহায্য করছে।” পালটা প্রতিক্রিয়ায় ভারতও জানিয়ে দিয়েছে, ভারতকে নীতি ধর্ম শেখাতে আসা আমেরিকা নিজেই রাশিয়া থেকে বিপুল পণ্য আমদানি করে।
বিদেশমন্ত্রকের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, রাশিয়া ও ইউরোপের বাণিজ্য তালিকায় শুধু তেল বা গ্যাস নয়, সার, খনিজ, রাসায়নিক, লৌহ ইস্পাত-সহ আরও বহু পণ্য আমদানি করে। এই তালিকায় শুধু ইউরোপ কেন খোদ আমেরিকাও বিপুল পণ্য আমদানি করে। তারা নিজেদের পারমাণবিক কার্যকলাপের জন্য রাশিয়ার থেকে ইউরেনিয়াম হেক্সাফ্লোরাইড কেনে। বৈদ্যুতিন গাড়ি শিল্পের জন্য প্যালাডিয়াম, সার ও রাসায়নিক আমদানি করে।
ভারতের বিবৃতির পর হোয়াইট হাউসে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে সাংবাদিকদের তরফে ট্রাম্পকে এই প্রশ্ন করা করা হলে কার্যত ভ্যাবাচ্যাকা খান ট্রাম্প। তিনি বলেন, “এই বিষয়টি সম্পর্কে আমি বিশেষ জানি না। আমাদের বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.