সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরমাণু চুক্তি নিয়ে ইরানের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই ‘বিপজ্জনক’ মধ্যপ্রাচ্য থেকে মার্কিন কর্মী কমানোর নির্দেশ দিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে কিছুতেই ইরানের পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডারকে মান্যতা দেবেন না, সেকথাও জানিয়ে দিয়েছেন। এই সিদ্ধান্ত কি মধ্যপ্রাচ্যের নতুন করে যুদ্ধের মেঘ ঘনিয়ে ওঠার ইঙ্গিত?
বুধবার রয়টার্সের এক প্রতিবেদনেও বলা হয়েছিল, ইরাক অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস থেকে কর্মী কমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে হোয়াইট হাউস। মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা নিয়ে ঝুঁকি বাড়ায় সামরিক বাহিনীর উপর নির্ভরশীলদের মধ্যপ্রাচ্য ত্যাগ করার অনুমতি দেবে আমেরিকা। মার্কিন ও ইরাকি সূত্র এই খবরে মান্যতা দিয়েছে। উল্লেখ্য, ইরাক, কুয়েত, বাহারিন, আরব আমিরশাহীর মতো জ্বালানি তেল সমৃদ্ধ দেশগুলিতে বিভিন্ন কারণে বিপুল সংখ্যক মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে। অন্যতম কারণ, দূতাবাস-সহ এই দেশগুলিতে কাজ করা মার্কিন কর্মীদের নিরাপত্তা।
ট্রাম্পের বক্তব্যে স্পষ্ট যে এবার এই কর্মীদেরই একাংশকে মধ্যপ্রাচ্য ছাড়ার সবুজসংকেত দিয়েছে হোয়াইট হাউস। এদিকে একটি সূত্রের দাবি, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের ফলে প্রভাব পড়তে পারে তেলের দামে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়তে পারে ৪ শংতাংশ। মার্কিন স্বরাষ্ট্র দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় একটি নির্দেশকায় বলা হয়েছে যে বর্তমান উত্তেজনার পরিস্থিতিতে আপাতকালীন কর্মীরা ছাড়া বাকিদের দেশে ফেরানো হবে।
বিশ্লেষকদের বক্তব্য, ইরান পরমাণু চুক্তি না মানলে নজিরবিহীন বোমা বর্ষণের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এরপরেও নিজেদের অবস্থান থেকে সরেনি তেহরান। এই অবস্থায় মার্কিন ‘বন্ধু’ ইজরায়েল ইরানের পরমাণু ঘাঁটিগুলিতে হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেই কারণেই সাধারণ মার্কিন কর্মীদের সরানোর সিদ্ধান্ত নিল ওয়াশিংটন। যদিও ট্রাম্পের বক্তব্য, “ওঁদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে কারণ এটা একটা বিপজ্জনক জায়গা হয়ে উঠতে পারে। আমরা সরে যাওয়ার জন্য নোটিশ দিয়েছি।” উত্তজনা প্রশমনে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প বলেন, “ওরা (ইরান) পারমাণবিক অস্ত্র রাখতে পারে না। খুব সহজ কথা, ওদের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র থাকতে পারে না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.