Advertisement
Advertisement

Breaking News

Jimmy Carter

প্রয়াত প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার, বন্ধুকে হারিয়ে শোকপ্রকাশ বাইডেনের

মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ১০০ বছর

Former US President Jimmy Carter Dies At 100
Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:December 30, 2024 8:27 am
  • Updated:December 30, 2024 9:28 am   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১০০ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার। নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী জিমি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে ছিলেন ১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত। গত অক্টোবর মাসে নিজের শততম জন্মদিন পালন করেছিলেন জিমি। এদিন জিমি কার্টারের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে তাঁর প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান কার্টার সেন্টার। তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন-সহ আমেরিকার শীর্ষ নেতৃত্ব।

Advertisement

১৯২৪ সালের ১ অক্টোবর আমেরিকার জর্জিয়ায় জন্ম জিমি কার্টারের। ১৯৪৩ সাল থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত মার্কিন নৌবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন তিনি। এরপর মার্কিন রাজনীতিতে প্রবেশ। ১৯৭৭ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে বসার আগে জর্জিয়ার গর্ভনর ছিলেন তিনি। আমেরিকার ৩৯ তম প্রেসিডেন্ট পদে দক্ষতার সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন নিজের দেশকে। রবিবার তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। জিমি কার্টারের সাক্ষরিত একটি ছবি এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করে তিনি লেখেন, ‘৬ দশক ধরে জিমি কার্টারকে বন্ধু বলে ডাকার সৌভাগ্য হয়েছে জিল ও আমার। তবে জিমির কৃতিত্ব এটাই যে যারা কখনও তাঁর সঙ্গে দেখা করেননি আমেরিকার এমন কয়েক লক্ষ মানুষ জিমিকে তাঁদের বন্ধু বলে মনে করেন।’ জিমির মৃত্যুতে তাঁর পুত্র চিপ কার্টার বলেন, ‘আমার বাবা একজন নায়ক ছিলেন। শুধু আমার কাছেই নন, যারা শান্তি, মানবাধিকার ও ভালোবাসায় বিশ্বাস করেন তাঁদের সবার কাছে।’

ডেমোক্র্যাট পার্টির সদস্য জিমি মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে বসার পর অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক দিক থেকে দারুনভাবে এগিয়ে দিয়েছিলেন আমেরিকাকে। সেই সময় ইজরায়েল ও মিশরের মধ্যে চলতে থাকা যুদ্ধ থামাতে অগ্রণী ভূমিকা নেন তিনি। তাঁর সময়েই চিনের সঙ্গে আমেরিকার কূটনৈতিক সম্পর্ক নয়া মাত্রা পায়। তবে ১৯৭৯ সালে ইরান বিদ্রোহের সময় তেহরানে আটকে পড়া মার্কিন দূতাবাসের কর্মীদের উদ্ধার করতে ব্যর্থ হন কার্টার। যার ফল ভুগতে হয় ১৯৮০ সালের নির্বাচনে বিরাট ভোটে হার হয় জিমির।

তবে প্রেসিডেন্ট পদ হারালেও কূটনীতিবিদ হিসেবে নিজের কাজ চালিয়ে গিয়েছেন কার্টার। ১৯৯৪ সালে উত্তর কোরিয়া সফর ও কিম সুংয়ের সঙ্গে আলোচনা, ১৯৯৯ সালে তাইওয়ান-সহ গত চার দশকে বিশ্বের নানা প্রান্তে ঘুরে শান্তি প্রতিষ্ঠার কাজ চালিয়ে যান কার্টার। যার জন্য ২০০২ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয় তাঁকে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ