Advertisement
Advertisement
UK

সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রে ‘নরম’ সাজার সম্ভাবনা! ব্রিটেনের নয়া আইন নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে

আগামী এপ্রিল থেকেই এই নির্দেশ লাগু হবে।

Fury as criminals from ethnic and religious minorities could see softer sentences in 'two-tier' justice move in UK
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:March 7, 2025 4:05 pm
  • Updated:March 7, 2025 4:05 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইনের চোখে সকলেই সমান। এই আপ্তবাক্য যেন কিছুটা সংশয়াচ্ছন্ন চেহারা নিচ্ছে ব্রিটেনে। অন্তত সাম্প্রতিক নির্দেশিকা ঘিরে বিতর্ক এই প্রশ্নই তুলে দিচ্ছে যে, দ্বিস্তরীয় সাজাদানের বিষয়টি কি আদৌ যুক্তিযুক্ত? আসলে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের সাজাপ্রদান সংক্রান্ত নির্দেশিকা তৈরি ও তার ব্যবহার পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা সেন্টেন্সিং কাউন্সিল যে নতুন নীতি প্রকাশ করেছে সেখানে বলা হয়েছে সাজাদানের ক্ষেত্রে আদালত যেন অপরাধীর ধর্মীয় ও অন্যান্য দিক বিচার করে। আর তা নিয়েই বেঁধেছে বিতর্ক।

Advertisement

নয়া নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু, ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সি, মহিলা ও অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের ক্ষেত্রে সাজাদানের ক্ষেত্রে বিবেচনা করতে হবে। আগামী এপ্রিল থেকেই এই নির্দেশ লাগু হবে। সাজাদানের ক্ষেত্রে ‘প্রি-সেন্টেন্স রিপোর্ট’ তৈরির কথাও বলা হয়েছে।

কমনসে দাঁড়িয়ে শ্যাডো জাস্টিস সেক্রেটারি রবার্ট জেনরিক বলেছেন, ”নতুন সাজাদানের গাইডলাইন জাতিগত সংখ্যালঘু, সাংস্কৃতিক সংখ্যালঘু, এবং/অথবা ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের হেফাজতে সাজার সম্ভাবনা কমিয়ে দেবে।” তাঁর প্রশ্ন, এর ফলে বিচারব্যবস্থায় একটা ‘ডবল স্ট্যান্ডার্ড’ তৈরি হবে। এর ফলে আইনে একটা পরস্পরবিরোধিতা তৈরি হবে। কনজারভেটিভরা আইনের সাম্যে বিশ্বাস করে। কিন্তু এক্ষেত্রে সেটা থাকছে। তিনি যে শিগগিরি সেন্টেন্সিং কাউন্সিলকে এই বিষয়ে তাঁর সন্তোষ জানিয়ে চিঠি লিখবেন একথাও জানিয়েছেন রবার্ট।

এদিকে সেন্টেন্সিং কাউন্সিল এক নয়া ধারায় পরামর্শ দিয়েছে যে সাজার কার্যকারিতা অপরাধীর পরিস্থিতির উপরে নির্ভর করে। এবং পুনর্বাসন দেওয়া হলে তা স্বল্পমেয়াদি কারাবাসের থেকে পুনরায় অপরাধে লিপ্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি কমাবে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ