Advertisement
Advertisement

Breaking News

Giorgia Meloni

বোরখা পরলে ২.৬ লক্ষ টাকা জরিমানা! ইতালিতে আইন আনছে মেলোনি সরকার

'ইসলামি বিচ্ছিন্নতাবাদ' রুখতে এই পক্ষেপ বলে জানানো হয়েছে।

Giorgia Meloni Drops Bombshell Bill To Ban Burqa, Niqab at Public Places

ফাইল ছবি

Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:October 10, 2025 2:10 pm
  • Updated:October 10, 2025 2:10 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রকাশ্য স্থানে বোরখা কিংবা হিজাব পরা বন্ধ করতে আইন আনছে ইতালির জর্জিয়া মেলোনি সরকার। ইতালির শাসকদল ‘ব্রাদার্স অফ ইতালি’-এর তরফে সংসদে এই সংক্রান্ত বিল পেশ করা হয়েছে। জর্জিয়া সরকারের দাবি, দেশে ‘ইসলামি ও সাংস্কৃতিক বিচ্ছিন্নতাবাদ’ রুখতে এই পদক্ষেপ। এই আইন অমান্য করলে ৩০০ থেকে ৩০০০ ইউরো পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। ভারতীয় মুদ্রায় যা ২৬ হজার থেকে ২.৬ লক্ষ টাকা।

Advertisement

জানা গিয়েছে, গত ৮ অক্টোবর ইতালির সংসদে পেশ করা হয় এই বিল। যেখানে বলা হয়েছে, স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়, দোকান-পাঠ, অফিস-সহ অন্যান্য সার্বজনিক জায়গায় পুরোপুরি শরীর ঢাকা পোশাক পরা যাবে না। বিলে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, এইসব প্রকাশ্য স্থানে বোরখা কিংবা হিজাব পরা যাবে না। সংসদে বিলটি পেশ করেছেন মেলোনির দলের ৩ জন সাংসদ। বিলের উদ্দেশ্য দেশে ধর্মীয় বিচ্ছিন্নতাবাদ ও ধর্মের দ্বারা ঘৃণা ছড়ানো বন্ধ করা। মেলোনি সরকারের দাবি, এই পদক্ষেপ ইতালিতে সামাজিক সম্প্রীতি বাড়াবে। এবং সাংস্কৃতিক বিচ্ছিন্নতাবাদকে গোড়া থেকে নির্মূল করবে।

উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সাল থেকে ইতালিতে আইন রয়েছে প্রকাশ্য স্থানে মুখঢাকা পোশাক পরা যাবে না। যদিও সেই আইনে বোরখা ও হিজাবের কথা উল্লেখ ছিল না। মেলোনির দল ‘ব্রাদার্স অফ ইতালি’র শরিক লিগ পার্টি চলতি বছরের মুখ ঢাকা পোশাক বলতে বোরখা ও হিজাব জাতীয় পোশাকের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির দাবি তোলে। সেই দাবিকে মান্যতা দিতে এবার তৎপর হল মেলোনির দল। মেলোনি সরকারের এক মন্ত্রী বলেন, ‘এই বিলটি ফ্রান্সের দ্বারা অনুপ্রাণিত। ২০১১ সালে সেখানে বোরখার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয়েছিল। এখানেও সেই আইন লাগু করতে তৎপর আমরা।’ জানা যাচ্ছে, মেলোনির জোট সরকার বর্তমানে ইতালির সংখ্যাগরিষ্ঠ দল। তাই বিলটি পাশ হতে খুব একটা সমস্যা হবে না বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে এই বিলকে কেন্দ্র করে বিতর্কও শুরু হয়েছে ইতালিতে। ডানপন্থী সমর্থকরা বিলকে সমর্থন করলেও মুসলিম সংগঠনগুলি এটিকে ‘ইসলাম বিরোধী’ বলে উল্লেখ করেছে। ইতালির মুসলিম সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, “এই বিল নারী স্বাধীনতার উপর আক্রমণ এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘন।” যদিও সেসবকে গুরুত্ব দিতে নারাজ ডানপন্থীরা। তাদের দাবি, ইতালিতে মাত্র ৫ লক্ষ মুসলিম জনসংখ্যা। তাদের জন্য দেশে সাংস্কৃতিক বিচ্ছিন্নতা ও ইসলামি মিচ্ছিন্নতাবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এই অবস্থায় ইতালির সংস্কৃতি রক্ষা ও সামাজিক বিভাজন ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ