সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিজ ভূমেই কোণঠাসা ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেই। সূত্রের খবর, ৮৬ বছরের শীর্ষনেতাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে একজোট হয়েছে ইরান সরকারেরই কয়েকজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক। শুধু তাই নয়। এমনও শোনা যাচ্ছে যে, ইজরায়েলকে আটকাতে দেশের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়ে তাঁরা না কি ‘শত্রু’ আমেরিকার সঙ্গেও এক টেবিলে বসতে রাজি।
সূত্রের খবর, সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিক ছাড়াও এই দলটিতে রয়েছেন বেশ কয়েকজন রাজনীতিবিদ, সরকার ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী এবং সেনা আধিকারিক। এই মুহূর্তে তাঁদের লক্ষ্য একটি কমিটি গঠন করা এবং খামেনেইকে ক্ষমতাচ্যুত করা। এই পরিস্থিতিতে এখন একটা প্রশ্নই জোরাল হচ্ছে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতার পতন কি তাহলে আসন্ন? আসলে মার্কিন হামলার পরই দেশটি দু’ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে। একদল মনে করছে, দেশকে রক্ষা করতে খামেনেই ব্যর্থ। তাই ইরানের উচিত এখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসা। আবার আরেক একদল মনে করছে, ইরানের এখন শুধুই প্রত্যাঘাত করা উচিত। ইজরায়েল এবং আমেরিকার দ্বিমুখী হামলায় এমনিতেই বেসামাল ইরান। তার উপর দেশের অন্দরেই চলছে এধরনের যড়যন্ত্রের ছক। যুদ্ধের পাশাপাশি এবার রাজনৈতিক টানাপোড়েনের জেরে কি আরও জটিল হবে ইরানের পরিস্থিতি? সেই প্রশ্নটাই এখন উঠতে শুরু করেছে।
দিন কয়েক আগে খামেনেইকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তাঁর কথায়, “প্রয়োজনে পাতাল ফুঁড়েও নিকেশ করা হবে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতাকে”। একই সুর শোনা গিয়েছিল ট্রাম্পের গলাতেও। তারপরই আশঙ্কা সত্যি করে ইরানের তিন পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে আমেরিকা। এই পরিস্থিতিতে শোনা যাচ্ছে, যুদ্ধের আঁচ থেকে ৮৬ বছরের শীর্ষনেতাকে বাঁচাতে তাঁকে গোপন আস্তানায় রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে খামেনেই ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন সামরিক নেতাদের। বৃদ্ধ নেতার শরীর ভালো নেই বলেও খবর। তার উপর নিজের দেশেই তিনি এখন যড়যন্ত্রের শিকার। আগামী দিনে এই জল কতদূর গড়ায় সেটাই এখন দেখার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.