সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেবী দুর্গার বিদায়ে ভুবনে বিষাদের সুর! তবে সেই সঙ্গেই মা কালীর আরাধনার দিন এগিয়ে আসায় মনে আনন্দও। আসলে মা-ই আসছেন ভিন্নরূপে। দীপাবলি ও কালীপুজোর আলোয় ভাসবে বাংলা-সহ গোটা দেশ। সেই আলোর বিচ্ছুরণ দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে পৌঁছে যাবে টিউলিপের দেশ নেদারল্যান্ডসেও। বেনেলাক্স এরিয়ায় দেবী কালিকার আরাধনায় মাতবে ‘উচ্ছ্বাস’ পরিবার।
পুজোর সময় বাড়ি না ফিরতে পারার দুঃখে মন কেঁদে ওঠে প্রতিটি হিন্দু বাঙালির। কিন্তু বিদেশেও কি মা’র আরাধনা করা যায় না? তাঁর বিচরণ যে ভুবনজুড়ে। সেই ভাবনা থেকে গতবছর শ্যামা মায়ের আরাধনার পরিকল্পনা করে, ‘উচ্ছ্বাস নেদারল্যান্ডস ভারতীয় সাংস্কৃতিক কমিটি’। প্রথম বর্ষে চারটি পরিবার মিলে শুরু করে পুজো। বছরখানেকের মধ্যেই সেই সংস্থা কলেবরে বৃদ্ধি পেয়েছে দ্রুত।
উচ্ছ্বাসের পুজোয় মায়ের প্রতিমা দক্ষিণেশ্বরের মা ভবতারিণীর আদলে তৈরি। কুমোরটুলি থেকে গিয়েছে প্রতিমা। মায়ের রূপ দিয়েছেন শিল্পী জয়ন্ত পাল। উচ্ছ্বাসের দ্বিতীয় বর্ষের পুজো হবে ১৯ অক্টোবর, রবিবার। এবার তাঁরা মহারাষ্ট্রের ফোক আর্ট ও অরলি আর্টে সাজিয়ে তুলবেন পুজো মণ্ডপ। পুজো করবেন নীলাঞ্জন ভট্টাচার্য ও ড. লিপিকা ভট্টাচার্য। তাঁদের সংস্কৃত মন্ত্রের উচ্চারণে পুজোস্থল কুডেলস্টার্টসেওয়েগ টি পোডিয়াম যেন ভূস্বর্গে পরিণত হয়!
শুধু মাতৃশক্তির আরাধনা নয়, উচ্ছ্বাসের পুজো যেন মিলন মেলাও। বাঙালিদের সঙ্গে বিদেশিরাও কালীর আরাধনায় মেতে ওঠেন। প্রথমবারেই প্রায় ৪০০ জন অংশগ্রহণ করেছিলেন। এবার আরও বেশি দর্শনার্থী আসবেন বলে আশাবাদী কর্তৃপক্ষ। ৩০০ জনকে মায়ের ভোগপ্রসাদ বিতরণ করে উচ্ছ্বাস। সকলে মিলে অনুদান দিয়ে এই পুজো করেন।
মায়ের আরাধনার পাশাপাশি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনও করে কমিটি। রঙ্গোলি প্রতিযোগিতা, ভারতীয় নৃত্যকলা কত্থক, মিউজিক কনসার্ট, ম্যাজিক শো, স্ট্যান্ড আপ কমেডির আয়োজন করা হয়। এবং সমস্তটাই বিনামূল্যে। থাকে একাধিক খাবারের স্টল। সেখানে বাঙালি, দক্ষিণ-উত্তর ভারতীয় সমস্ত রকমের খাবার থাকে। থাকে শাড়ি, গয়নার স্টলও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.