Advertisement
Advertisement

Breaking News

Nimisha Priya

‘ক্ষমা নেই, অবিলম্বে ফাঁসি চাই’, নিমিশার মৃত্যুদণ্ড চেয়ে ফের আবেদন মৃতের ভাইয়ের

ব্লাড মানির বিনিময়ে প্রাণরক্ষার রাস্তাও কার্যত বন্ধ।

Nimisha Priya case, Victim’s brother demands immediate execution
Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:August 11, 2025 9:35 am
  • Updated:August 11, 2025 9:35 am   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইয়েমেনে জীবন-মৃত্যুর দোলাচলে কেরলের নার্স নিমিশা প্রিয়ার ভাগ্য। ‘ব্লাড মানি’র বিনিময়ে নিমিশার জীবনরক্ষার আবেদন আগেই খারিজ করেছে আলাল আবদু মেহদির (আলালের খুনেই সাজা হয়েছে নিমিশার) ভাই আবদেলফাত্তাহ মেহদি। এবার দ্রুত মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার দাবিতে তৃতীয় দফায় আর্জি জানালেন আবদেলফাত্তাহ।

Advertisement

গত শনিবার ইয়েমেনের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে এই বিষয়ে একটি চিঠি লিখেছেন আবদেলফাত্তাহ। সোশাল মিডিয়ায় সেই চিঠি শেয়ারও করেছেন তিনি। যেখানে বলা হয়েছে, ইয়েমেনের ইতিহাসে এমন মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড কখনও ঘটেনি। ইতিমধ্যেই এই মামলায় নিম্ন আদালতের তরফে অপরাধীকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে। হত্যাকারীকে ক্ষমা করার কোনও প্রশ্নই নেই। ফলে অবিলম্বে অপরাধীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হোক।

প্রসঙ্গত, কেরলের পালাক্কড় জেলার বাসিন্দা নিমিশা প্রিয়া ২০০৮ সাল থেকে ইয়েমেনের এক হাসপাতালে কাজ করতেন। ২০১৪ সালে তাঁর স্বামী ও কন্যা ভারতে ফিরে এলেও নিমিশা সেখানে থেকে যান। এক ব্যক্তিকে হত্যার অপরাধে ২০১৭ সাল থেকে ইয়েমেনের জেলে বন্দি রয়েছেন তিনি। ২০১৮ সালে এই মামলায় তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনায় ইয়েমেনের আদালত। তাঁর প্রাণ বাঁচাতে এত বছর ধরে আইনি লড়াই চালিয়ে এসেছে নিমিশার পরিবার। প্রবাসী ভারতীয় ওই যুবতীর প্রাণভিক্ষার আবেদন রাষ্ট্রপতির কাছে পৌঁছলে তা খারিজ করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্দেশ দেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট রশিদ মহম্মদ আল আলিমি। এই পরিস্থিতিতে প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড রদ করতে তৎপর হয় বিদেশমন্ত্রক। অবশেষে সাময়িক ভাবে হলেও আটকানো গিয়েছে তাঁর ফাঁসি।

তবে সমস্ত রাস্তা কার্যত বন্ধ হওয়ার পর নিমিশা প্রিয়াকে বাঁচাতে এগিয়ে এসেছেন সুন্নি সম্প্রদায়ের মুসলিম ধর্মগুরু কান্দাপুরম এপি আবুবকর মুসলিয়ার। ইয়েমেনের ধর্মীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন তিনি। এরপরই ইয়েমেনের ধর্মগুরু শেখ উমর হাফিজ কথা বলেন মৃতের পরিবারের সঙ্গে। ব্লাড মানির বিনিময়ে নিমিশার প্রাণভিক্ষার আর্জি জানানো হলেও রাজি হয়নি মৃতের পরিবার।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ