Advertisement
Advertisement

Breaking News

North Korea

কিমের ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ দেখল দুনিয়া, কীভাবে মোকাবিলা করবে আমেরিকা?

পিয়ংইয়ংয়ের উপর সিআইএ-র শ্যেনদৃষ্টি কতটা তা সবার জানা।

North Korea test fires new ICBM | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:July 13, 2023 6:03 pm
  • Updated:July 13, 2023 6:03 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তর কোরিয়া আর রহস্য যেন সমার্থক! কখন কী ভেলকি দেখাবেন একনায়ক কিম, তা নিয়ে মার্কিন গোয়েন্দাদের সবসময় উদ্বিগ্ন। পিয়ংইয়ংয়ের উপর সিআইএ-র শ্যেনদৃষ্টি কতটা তা সবার জানা। রয়েছে ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞাও। তা সত্ত্বেও গোপনে নতুন ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ তৈরি করে ফেলেছেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন।

Advertisement

উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে, বুধবার অত্যাধুনিক হোয়াসাং-১৮ ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইলের সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। গোপন বাঙ্কার থেকে নিজে এই মিশন পরিচালনা করেন কিম। কমিউনিস্ট দেশটির হুমকি, নিজের আগ্রাসী নীতি না পালটালে এই ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়বে আমেরিকা ও উত্তর কোরিয়ার বুকে। আণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম এই হোয়াসাং-১৮ ক্ষেপণাস্ত্র কার্যত কিমের ‘ব্রহ্মাস্ত্র’। গতকাল, বুধবার প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে জাপান সাগরে আছড়ে পড়ে মিসাইলটি। ৭৪ মিনিটের উড়ানে ৬ হাজার কিলোমিটার উঁচুতে উঠে এই ক্ষেপণাস্ত্র।

[আরও পড়ুন: সম্ভবত আর বেঁচেই নেই বিদ্রোহী ‘পুতিনের রাঁধুনি’! প্রিগোজিন নিয়ে বিস্ফোরক দাবি আমেরিকার]

প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, গত এপ্রিল মাসে প্রথম পরীক্ষা হয় হোয়াসাং-১৮ মিসাইলের। আণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম এই ক্ষেপনাস্ত্র। তবে এর সবচেয়ে বড় বিশেষত্ব হচ্ছে ‘সলিড ফিউল’ বা কঠিন জ্বালানি। অন্যান্য মিসাইলের মতো এতে উৎক্ষেপণের আগে তরল জ্বালানি ভরার জন্য সময় নষ্ট হয় না। ফলে মুহূর্তের নোটিসে হামলা চালাতে সক্ষম হোয়াসাং-১৮। তাছাড়া, হাজার হাজার কিলোমিটার উঁচু থেকে ধেয়ে আসায় রাডার ও অন্যান্য মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম এই হাতিয়ারকে রুখতে তেমনভাবে সক্ষম নয় বলেই দাবি।    

উল্লেখ্য, গত সোমবার উত্তর কোরিয়া (North Korea) দাবি করে, তাদের দেশের আকাশসীমা পেরিয়ে ঢুকে পড়েছে বেশ কয়েকটি মার্কিন বিমান। দেশজুড়ে নজরদারি চালাতেই এই বিমান পাঠিয়েছে আমেরিকা। দেখামাত্র গুলি করে বিমান নামানো হবে বলেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিল কিমের প্রশাসন। তবে শেষ পর্যন্ত কোনও বিমান ধ্বংস করা হয়েছে কিনা, তা জানা যায়নি। উত্তর কোরিয়ায় নজরদারি বিমান পাঠানো নিয়ে মুখ খোলেনি আমেরিকাও।

[আরও পড়ুন: ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে ভুল নামে ডাকলেন বাইডেন! তুমুল কটাক্ষ নেটদুনিয়ায়]

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ