Advertisement
Advertisement

Breaking News

PM Modi

বন্ধুত্বের গাঁটছড়া, ‘বন্ধু’ জিনপিংকে ২৬-এর ব্রিকস সম্মেলনে ভারতে আমন্ত্রণ মোদির

ব্রিকস সম্মেলনে ভারতের সভাপতিত্বকে পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস জিনপিংয়ের।

PM Modi invites Chinese President Xi Jinping to India for BRICS Summit in 2026
Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:August 31, 2025 9:17 pm
  • Updated:August 31, 2025 9:24 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক ‘দাদাগিরি’কে পালটা দিতে একের অপরের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছে ভারত-চিন। রবিবার চিনে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) বৈঠকের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চিন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বৈঠক ও বন্ধুত্বের বার্তা দিয়েছেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে এবার ‘বন্ধু’ শি জিনপিংকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানালেন মোদি। ২০২৬ সালে ভারতে হতে চলেছে ব্রিকস সম্মেলন। সেখানে জিনপিংকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মোদি।

Advertisement

২৫তম এসসিও সম্মেলনের ফাঁকে রবিবার বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি ও শি জিনপিং। এই বৈঠকে সীমান্ত সমস্যা-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন দুই রাষ্ট্রনেতা। রবিবারের বৈঠকে উভয় রাষ্ট্রপ্রধানই ভারত-চিনের সম্পর্কের গুরুত্ব তুলে ধরেন। এরপরই এদিন বিদেশমন্ত্রকের তরফে এই সংক্রান্ত এক প্রেস বিবৃতি প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, ভারতে অনুষ্ঠিত হতে চলা ব্রিকস সম্মেলনে জিনপিংকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পালটা মোদিকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি ব্রিকস সম্মেলনে ভারতের সভাপতিত্বকে পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস দেন জিনপিং।

উল্লেখ্য, এদিন মোদি-শি বৈঠকের পর বিবৃতি দেন বিক্রম মিসরি। সেখানে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতির কথা তুলে ধরে তিনি জানান, “দুই দেশ মিলিয়ে ২৮০ কোটি মানুষ বসবাস করেন। ভারত এবং চিনের মধ্যে স্থিতিশীল সদ্ভাব থাকলে দুই দেশের মানুষের পক্ষেই সেটা লাভজনক, এটা ভারত-চিনের রাষ্ট্রপ্রধানরা বুঝেছেন। তাঁরা আরও বুঝেছেন, মতানৈক্য থাকলেও সেটাকে দ্বন্দ্ব পর্যন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া উচিত নয়। বরং ‘এশীয় শতাব্দী’ গড়ে তুলতে একে অপরের সহযোগী হওয়া উচিত ভারত এবং চিনের।”

মিসরি আরও বলেন, সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমন নিয়েও সদর্থক আলোচনা হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। সেনা সরানো নিয়ে জিনপিং চার দফা প্রস্তাব দিয়েছিলেন, সেই নিয়ে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও ভারসাম্য বজায় রেখে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, সন্ত্রাসদমন, সীমান্ত এলাকায় নদীগুলির ক্ষেত্রে সহযোগিতা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। ভারত এবং চিনের অর্থনীতি বিশ্ববাণিজ্যে স্থিরতা আনতে পারে, এমনটাই মনে করছেন মোদি-জিনপিং।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ