ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উইঘুর মুসলিমদের বিরুদ্ধে জিনপিং প্রশাসনের আগ্রাসনের অভিযোগ বারবার উঠেছে। এবার অভিযোগ, খ্রিস্টানদের উপরেও দমন অভিযান শুরু হয়েছে। গত শুক্রবার থেকে এযাবৎ গ্রেপ্তার করা হয়েছে অন্তত ৩০ জন খ্রিস্টান নেতাকে। দাবি, এঁরা প্রায় সকলেই বেজিংয়ের বিখ্যাত জায়ন চার্চ নেটওয়ার্কের সদস্য। মানবাধিকার সংগঠনগুলির দাবি, গত কয়েক দশকে একসঙ্গে এতজন খ্রিস্টানকে গ্রেপ্তারের ঘটনা চিনে এই প্রথম। এবং একে ‘হিমশৈলের চূড়া’ বলে ধরে নিয়ে ওয়াকিবহাল মহলের আশঙ্কা, আগামিদিনে আরও বহু খ্রিস্টানকে গ্রেপ্তার করতে পারে জিনপিং প্রশাসন।
সম্প্রতি চিনে এক নতুন আইন লাগু হয়েছে। এই আইনের মাধ্যমেই চার্চের কার্যকলাপ রোধ করে চার্চ সদস্যদের উপরে চাপ বাড়ানোর খেলা শুরু হয়েছে। মনে করা হচ্ছে সাম্প্রতিক গ্রেপ্তারির ঘটনা ইঙ্গিত দিচ্ছে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই এই চাপ আরও অনেক বেশি পরিমাণে বাড়ানো হবে।
‘কমিউনিস্ট’ চিনে সেখানে খ্রিস্টানদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য রকম বেশি। সরকারি হিসেব বলছে ৩ কোটি ৮০ লাখ প্রোটেস্ট্যান্ট ও ৬০ লাখ ক্যাথলিক খ্রিস্টান রয়েছেন বেজিংয়ে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে চার কোটি খ্রিস্টান রয়েছেন সেদেশে। এদিকে গবেষকদের মতে, সংখ্যাটা আরও বেশি। কয়েক কোটি খ্রিস্টান প্রশাসনের নজর এড়িয়ে আন্ডারগ্রাউন্ড চার্চে উপাসনা করেন। এবার চিনা প্রশাসন সেই খ্রিস্টানদেরই মূলত ‘টার্গেট’ করতে পারে, আশঙ্কা তেমনই। কী এই আন্ডারগ্রাউন্ড চার্চ? আসলে চিনের আইন অনুযায়ী, প্রশাসনকে জানিয়ে তবেই প্রতিষ্ঠা করা যায় চার্চগুলিকে। যেগুলি কোনও অনুমতি না নিয়েই গড়ে ওঠে, সেই চার্চগুলিকেই আন্ডারগ্রাউন্ড চার্চ বলা হয়।
এদিকে চিনে উইঘুরদের উপরে হওয়া নির্যাতনও বারবার উঠে এসেছে আলোচনায়। রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টে এক বলা হয়েছে, ধর্ষণ, পুরুষদের জোর করে নির্বীজকরণের মতো ঘটনা ঘটেছে সেখানে। এমনকী, হঠাৎই নিজের বাড়ি থেকে উধাও হয়ে গিয়েছেন অনেকে। পরে যাঁদের আর কোনও খোঁজ মেলেনি। উইঘুর এবং অন্যান্য মুসলিম গোষ্ঠীর সদস্যদের সাধারণ নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। জোর করে ডিটেনশন ক্যাম্পে আটকে রাখা হচ্ছে তাঁদের। এমনই সব অভিযোগ করেছে মানবাধিকার সংগঠনগুলি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.